গত প্রায় ২০ বছর ধরে তাদের পরিবার মুরগির ডিমের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের নিজস্ব খামার রয়েছে। সেখানে মুরগি চাষ হয়। মুরগির ডিম তারা বাজারে বেচে। যেমন সাধারণ দাম হয় সেই দামেই চলে ব্যবসা। সেটাই তো স্বাভাবিক।
কিন্তু সেসব স্বাভাবিক দাম একটি মুরগির ডিমের ক্ষেত্রে আর রইল না। তা বিক্রি হল ৫০০ পাউন্ডে। যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা।
শুনে চমকে যাওয়ার মত হলেও এটাই সত্যি। এখানে প্রশ্ন ওঠে তাহলে কি ওই মুরগি সোনার ডিম পেড়েছিল? সোনার ডিম না হলেও সে যে ডিম পেড়েছিল তা লাখে একটা হয়।
ব্রিটেনের ওই পরিবার খামার থেকে মুরগির ডিম সংগ্রহ করতে গিয়ে একটি মুরগির ডিম দেখে থমকে যায়। ডিমটি একদম গোল। ঠিক ছোট বলের মত। যা অনায়াসে বলের মত গড়িয়ে যেতে পারে।
মুরগির ডিম গোল হয়না। এমন একটা অদ্ভুত দর্শন ডিম দেখে তারা স্থির করে এমন ডিম সম্বন্ধে একটু খোঁজখবর নেবে। ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে মুরগির গোল ডিম অত্যন্ত দুষ্প্রাপ্য। যা প্রায় দেখাই যায়না। তারাও ২০ বছর ধরে মুরগির ডিমের ব্যবসায় যুক্ত থেকেও এমন আকারের ডিম কখনও দেখেনি।
ডিম যে মোটা টাকায় বিক্রি হতে পারে তা ওই পরিবার বুঝতে পেরে ডিমটি একটি ই-কমার্স সাইটে লিস্ট করে দেয়। যার দাম কার্যত নিলামে ওঠে ৫০০ পাউন্ড।
ওই টাকায় ডিমটি তারা বেচে দেয়। একটা ডিম বেচে যে ৫০০ পাউন্ড বা ৫০ হাজার টাকাও পাওয়া যেতে পারে তা পরিবারটি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি।