অনেক ব্যথা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয় মেয়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়। এটা মানা হয় যে, যখন একজন মহিলা তার সন্তানের জন্ম দেয় তখন তার দ্বিতীয় জন্ম হয় এবং কঠোর যন্ত্রণা ভোগ করার পর যখন তার বাচ্চা তার কোলে আসে, তখন সে তার সমস্ত ব্যথা ভুলে যায়।
এটা সত্যিই যে একটি শিশুকে, যখন তার জন্মের পর তার মায়ের কাছে রাখা হয়, তখন সে তার মায়ের কাছে ভালোবাসার বন্ধনে আটকে যায় এবং তাকে ছেড়ে যায় না। ঠিক এরম একটি শিশু জন্মের পর তার মাকে প্রথম দেখেই নিজের করে নিয়েছে। জন্ম গ্রহণ এর পর যখন শিশু টিকে তার মায়ের কাছে দেওয়া হয়
তখন ওই সদ্য জাতো জন্ম গ্রহণ করা বাচ্চা টি কিছুতেই তার মাকে ছাড়তে চায় ছিল না, নিচে ভিডিও দেওয়া হয়েছে ভিডিও টি দেখে হয়তো আপনি ও বলবেন এটা কলিযুগের বাচ্চা,সব কিছু আগে থেকেই তার মধ্যে রয়েছে কোনটি তার মা কোনটি তার বাবা কারা তার আপন জন ইত্যাদি। ভিডিওটি দেখুন নিউজের একেবারে শেষে।
আরও পড়ুন : বিমানবালাকে ভুলেও এই ১০টি প্রশ্ন করবেন না। বিমানে যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, তাঁরা জা’নেন বিমানবালারা বেশ আন্তরিকতার স’ঙ্গে ই যাত্রীদের সেবা প্রদান করে থাকেন। দীর্ঘ যাত্রায় পানি, খাবার, কম্বল দেওয়া থেকে শুরু করে ডিপারচার কার্ড বা প্রস্থানের ফরম বিলি কিংবা প্রাথমিক চিকিৎ’সা—সবকিছুতেই বিমানবালারা চেষ্টা করেন যেন যাত্রীসেবায় কোনো ত্রুটি না থাকে। তবে যাঁরা নিয়মিত বিমানে চড়েন না, তাঁরা হয়তো না বুঝেই অনেক প্রশ্ন করে ফে’লে ন। এতে বিমানবালারা বির’ক্ত হতে পারেন, আবার বিব্রতকর প’রিস্থিতিতে পড়তে পারেন আপনিও।
তাই বিমানবালাদের কী প্রশ্ন করবেন আর কী করবেন না, তার একটি তালিকা পাওয়া গেছে বিমানযাত্রাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোর্ডিং এরিয়া ডটকমে। বিমানযাত্রার আগে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক :
১. আমি কি ফার্স্ট ক্লাসের বাথরুম ব্যবহার ক’রতে পারি? এ প্রশ্ন করে থাকেন অনেকেই। তাঁরা হয়তো জা’নেন না, ফার্স্ট ক্লাসের বাথরুম শুধু যাঁরা ফার্স্ট ক্লাসের জন্য টিকেট কে’টেছেন, তাঁদের জন্যই বরাদ্দ। এ ধ’রনের প্রশ্ন করেও নিজে’র নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দেওয়া হয় আর বিমানবালাদেরও বিব্রতকর প’রিস্থিতিতে ফেলা হয়।
২. সিনেমা শুরু হচ্ছে না কেন? ওয়াই-ফাই নেই? বিমানে ওঠার স’ঙ্গে স’ঙ্গে আপনার সামনের মনিটরে সিনেমা দেখার সুযোগ নেই। কারণ, সেখানে উড্ডয়ন-সংক্রা’ন্ত প্রয়োজনীয় নির্দে’শনা দেওয়ার পর আপনি সিনেমা দে’খতে পারবেন বা গান শুনতে পারবেন। আর এতে সময় লাগে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তাই বিমানে উঠেই জিজ্ঞেস করবেন না, সিনেমা দেখানো হচ্ছে না কেন? শুরুর সময়টাতে ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনীয় নির্দে’শনা শেষ হলে সামনের মনিটর আপনার নি’য়ন্ত্রণে চলে আসবে,
তখন আপনি পছন্দমতো ছবি বা গান শুনতে পারবেন। আর হ্যাঁ, বিমান পুরোপুরি আকাশে ওঠার আগে ওয়াই-ফাই সেবা পাওয়া যায় না। কাজেই বিমানে উঠেই ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। ধৈর্য ধ’রুন, ক’র্তৃপক্ষই বলে দেবে কখন আপনি ওয়াই-ফাই ব্যবহার ক’রতে পারবেন। তা ছাড়া সব বিমানে ওয়াই-ফাই সেবা নাও থাকতে পারে। যদি থাকে সেটা বিমান ক’র্তৃপক্ষই আপনাকে বলে দেবে।
৩. কানেক্টিং ফ্লাইটটা আ’টকে রাখতে পারবেন? গন্তব্যে পৌঁছাতে বিমান পরিবর্তন করে অন্য যে বিমানে উঠতে হয়, তাকেই কানেক্টিং ফ্লাইট বলা হয়। আপনি যে বিমানে আছেন, সেই বিমানের বিমানবালার স’ঙ্গে আপনার কানেক্টিং বিমানের কোনো যোগাযোগ থাকে না। তার পরও আপনি যদি বর্তমান বিমানের বিমানবালাকে
প্রশ্ন করেন, কানেক্টিং ফ্লাইটটা একটু দেরি ক’রতে পারবে কি না, তাহলে সেটা ঠিক হবে না। কারণ, এই বিষয়টি বিমানবালার হাতে নেই। বরং ট্রানজিট বিমানবন্দরে নেমে যথাযথ ক’র্তৃপক্ষের স’ঙ্গে কথা বলে বিষয়টির সুরাহা আপনাকেই ক’রতে হবে।
৪. এটা (বকশিশ) রাখু’ন! রেস্তোরাঁয় খাওয়ার পর মোটা অঙ্কের বকশিশ দেওয়ার অভ্যাস আপনার আছে। সে জন্য মনে মনে বেশ গর্ব বোধ করেন আপনি। তাই বলে বিমান অবতরণের পর বিমানবালাকে ডেকে তাঁর হাতে টাকা ধ’রিয়ে দিয়ে বলবেন না, ‘এটা রাখু’ন। কিছু কিনে খাবেন!’ প্রথমত, বিমানের নীতিমালার ঘোরবিরো’ধী এটি। দ্বিতীয়ত, বিমানবালাদের জন্য এটি অপমানজনক। তাই যদি তাঁদের সেবা বা ব্যবহারে আপনি মুগ্ধ হয়ে থাকেন, হাসিমুখে একটা ধন্যবাদ দিন, সেটাই যথেষ্ট।
৫. আমি কি বিজনেস ক্লাসের খালি আসনে বসতে পারি? বাসে এ রকম হরহামেশাই করে এসেছেন। সামনের দিকের সিট খালি থাকলে পেছনের সিট ছে’ড়ে সামনে চলে এসেছেন। এটা আপনার কাছে কোনো ব্যাপারই না। এ জিনিসই চেষ্টা ক’রতে গে’লেন বিমানে। দেখলেন, বিজনেস ক্লাসের সিটগুলো খালিই প’ড়ে আছে। গিয়ে বসে পড়লেই হয়। কিন্তু বিজনেস ক্লাসে বসতে হলে আপনাকে বিজনেস ক্লাসের টিকেট ক’রতে হবে আগে। সেটা যদি না করে থাকেন, তাহলে ইকোনমি ক্লাসেই নিজে’র মতো স্বচ্ছন্দ হয়ে নিন।
৬. ব্যাগটা ওপরে রেখে দেবেন? কষ্ট ক’রতে ইচ্ছে করছে না, ডাকলেন একজন বিমানবালাকে। বললেন, ব্যাগটা একটু ওপরে উঠিয়ে রাখু’ন। এটা কিন্তু তাঁদের কাজে’র মধ্যে প’ড়ে না। নিজে’র ব্যাগ নিজেই উঠিয়ে রাখু’ন এবং চাইলে সহযাত্রীকে সহযোগিতা ক’রতে পারেন; কিন্তু বিমানবালাদের এ ধ’রনের অনুরো’ধ করবেন না।
৭. ওষুধ আছে কি? যাত্রীদের বিভিন্ন শা’রীরিক স’মস্যা সামাল দেওয়ার জন্য ফ্লাইটেই চিকি’ৎসক থাকেন। যদি অসু’স্থ বোধ করেন, তাহলে সেটা বিমানবালাদের জা’নাতে পারেন; সাহায্য চাইতে পারেন। কিন্তু নিজেই ডাক্তারি ফলিয়ে তাঁদের কাছে ওষুধ চাইবেন না। কারণ, তাঁদের ওষুধ দেওয়ার এখতিয়ার নেই এবং দ্বিতীয়ত, সেটা তাঁদের কাজও নয়।
৮. আসন বদলাতে পারি? অনেকেই একই ফ্লাইটে ব’ন্ধুবান্ধব বা পরিচিতি কারো দেখা পেয়ে যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে একস’ঙ্গে পাশাপাশি সিটে বসে যাওয়ার ইচ্ছা জাগতেই পারে। সে ক্ষেত্রে কখনোই বিমানবালাদের অনুরো’ধ করবেন না, সিট বদলে দেওয়ার জন্য। বড়জো’র আপনি নিজে সেটা বিনীতভাবে চেষ্টা করে দে’খতে পারেন। আপনার অনুরো’ধে যদি কোনো যাত্রী নিজে’র সিট পরিবর্তন করে আপনার পরিচিত বা ব’ন্ধুর স’ঙ্গে যাওয়ার ব্যব’স্থা করে দিতে রাজি থাকেন, তাহলেই কেবল আপনার আশা পূরণ হবে।
৯. আম’রা এখন কোথায় আছি? দুম করে জিজ্ঞেস করে বসবেন না, বিমান এখন কোথায় আছে বা কোন জায়গার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে? কারণ, আকাশে কোনো সাইনবোর্ড দেওয়া থাকে না, যা দেখে বিমানবালা আপনার প্রশ্নের জবাব দেবেন। ধ’রে অপেক্ষা করুন, কারণ কাছাকাছি এলে সেটা ক্যাপ্টেন জা’নিয়ে দেবেন। সামনের মনিটরেও সেটা আপনি দে’খতে পারবেন, যদি মনিটরের চ্যানেল পরিবর্তন করেন।
১০. কলম আছে? এটি খুবই সাধারণ একটি প্রশ্ন মনে হতে পারে আপনার। এটা কিন্তু বেশ বির’ক্তিকর একটা ব্যাপার বিমানবালাদের জন্য। তাঁরা প্রায়ই এ ধ’রনের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে প’ড়েন। কারণ, অনেকেই তাঁদের কাছে কলম ধার চান। কলম স’ঙ্গে নিয়ে ঘোরাটা তাঁদের কাজ নয়। তাই এ ধ’রনের প্রশ্ন করবেন না।