যৌতুক ও শারীরিক নির্যা;তনের অভিযোগে স্বামীর বিরু;দ্ধে মা;মলা করেছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন।
তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামী জি এস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে গ্রে;রি প;রোয়া;না জারি করেছেন আদালত।
মাম;লার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, সারিকা-রাহীর বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ২০ লাখ টাকা। বিয়েতে সারিকার মা-বাবা রাহীকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকারসহ উপহার হিসেবে বাসার আসবাবপত্র দিয়েছেন। পরবর্তীতে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে সারিকাকে নি;র্যা;তন করেন রাহী। আর তাই স্বামীর বি;রুদ্ধে যৌ;তু;ক নি;রোধ আই;নের ৩ ধারায় মাম;লাটি করেন তিনি।
এদিকে সারিকার বড় ভাই ড. আশিকুর রহমান জানালেন ভিন্ন কথা। তার ভাষ্যমতে, রাহী কখনোই তাদের কাছে যৌতুক চায়নি। রাহীকে তিনি একজন ভদ্র ছেলে হিসেবেই পেয়েছেন।
ড. আশিকুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমার জানামতে, আমার পরিবার বা আমি রাহীর পরিবারকে কোনো আসবাবপত্র দেইনি। বাবা তার মেয়েকে বিয়ের সময় যতটুকু গয়না দেওয়ার কথা ততোটুকুই দিয়েছে। রাহীর পরিবার থেকে যতটুকু গয়না দেওয়ার কথা ছিল, তারাও তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যৌতুক বা কোনো আর্থিক সাহায্য লাগবে কিংবা ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে- এমন কোনো কথা রাহীর মুখে আমরা শুনিনি। সে ইনডিরেক্টও আমাদের কিছু বলেনি। তার মধ্যে শ্বশুরের সম্পত্তির প্রতি লালসা রয়েছে, এমনটাও দেখিনি। এখন বন্ধ দরজার পেছনে তাদের স্বামী-স্ত্রীর (সারিকা-রাহী) মধ্যে কী হয়েছে, কী কথা;বার্তা হয়েছে তা আমি বা কেউই বলতে পারব না।
মার;ধরের প্রসঙ্গে সারিকার বড় ভাই বলেন, শারীরিক ;নি;র্যা;তনে;র যে কথা বলা হয়েছে, তার কিছু সত্যতা রয়েছে। বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় রাহী তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারিকার গায়ে হাত তুলেছে। গত সেপ্টেম্বরের ১৫ বা ১৬ তারিখ সারিকা আমার বাসায় এসে দেখায়, রাহী মেজাজ হারিয়ে তাকে আঘাত করেছে। সে সময় সারিকার বাম বাহুতে থেঁতলে যাওয়ার চিহ্ন ছিল। পরবর্তীতে মীমাংসার জন্য আমি তাদেরকে (সারিকা-রাহী) আমার বাসায় আসতে বলি। রাহী জানায়, ছোট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মে;জাজ হারিয়ে আঘাতটা করেছিল সে। তবে ইনটেনশনা;লি আঘাত করেনি। এর জন্য রাহী অনুতপ্ত এবং বারবার ক্ষমাও চায়। আমার বোন রাহীকে ক্ষমা করে দেন।
তার ভাষ্য, ওই ঘটনার পরেও মাঝে মাঝে দুই-একটা ক্ষেত্রে রাহী তার মেজাজ হারিয়ে গায়ে হাত তুলেন, এটা সারিকার বক্তব্য। তবে এই ব্যাপারে রাহীর সঙ্গে আমার আর কোনো কথা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে মাহিম করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সারিকা। সেই সংসারে সেহরিশ আনায়া নামে কন্যাসন্তান রয়েছে। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের ছয় বছর পর চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাহীর সঙ্গে সংসার পাতেন সারিকা। দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। কিন্তু এক বছর পূর্ণ না হতেই এখন সেই সংসারও ভা;ঙনের মুখে।