বীজ, ছাল, কাঠ ও পাতা বিক্রি করে হন কোটিপতি! যে গাছ চাষ করলে হবে বাম্পার আয়

চাষ করে কোটিপতি হওয়ার গল্প খুব কম নেই আমাদের দেশে। বাংলাদেশের মাটি অত্যন্তই উর্বর। তাই সঠিক উপায়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে চাষ করলে রোজগার হবে বেশ ভালই। তবে আজ আমরা এমন এক গাছের কথা বলবো যা এক কথায় বহুমূল্য। গাছের পাতা থেকে কাঠ, বীজ এমনকি ছাল থেকেও হবে ভালো রোজগার।

আজ আমরা মেহগনি চাষের কথা বলছি। যদিও এই চাষের ক্ষেত্রে চাষীদের অনেকখানি ধৈর্য্য ধরতে হবে। কারণ গাছগুলো বড় হতে অনেকদিন সময় নেয়। গাছগুলো ২০০ ফুট অবধি বেড়ে ওঠে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা এই গাছের কোনো অংশই নষ্ট হয়না। এবং গাছের প্রতিটি বেশ ভালো দামে বিক্রি হয় বাজারে।

মেহগনি গাছকে নিজের পূর্ণাঙ্গ রূপে আসতে সময় লাগে পাক্কা ১২ বছর! মেহগনি কাঠ খুবই মজবুত হয়। সেজন্য এই কাঠের বহুল ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন গয়না, আসবাবপত্র, সজ্জা, ভাস্কর্য ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এই গাছের বাকল ও পাতায় রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুণ। ওষুধ তৈরিতে সেগুলির বিবিধ ব্যবহার রয়েছে।

মেহগনি গাছ এতটাই শক্ত যে, এই গাছের কাঠ জলেও নষ্ট হয়না। গাছটির কাঠের রং লাল এবং বাদামি রঙের। উর্বর মাটি, ভালো জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং স্বাভাবিক পিএইচ এই গাছের বেড়ে ওঠার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। তবে এই গাছ সেখানেই ভালোভাবে নেড়ে ওঠে যেখানে দাপুটে হাওয়ার প্রভাব থাকেনা।

মেহগনি গাছ থাকলে মশা, পোকামাকড় ইত্যাদি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সেই কারণে এই গাছের পাতা এবং বীজের থেকে তৈরি তেল মশা এবং অন্যান্য পোকামাকড় তাড়াতে বহুল ব্যাবহার হয়। তাই সবদিক হিসেব করলে দেখা যায় যে, বেশ ভালই রোজগার হবে আপনার।

আপনাদের জানিয়ে রাখি যে বাজারে এই মেহগনির বীজ প্রতি কেজিতে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তাছাড়া মেহগনির কাঠের ক্ষেত্রে প্রতি ঘনফুটে ২,০০০ থেকে ২,২০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন।

এক হেক্টর জমিতে মেহগনির চাষ করে আপনি সহজেই ৭০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা আয় করতে পারেন।