সম্প্রতি জন্মদিন উপলক্ষে শাকিব ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার দিয়েছেন, এমনটিই জানান বুবলী। এই উপহার দেওয়ার খবরকে কেন্দ্র করে তাকে খোঁচা দেন অপু বিশ্বাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যখন চলে এই নিয়ে খোঁচাখুঁচি, তখন বুবলী এ বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেও পরবর্তীতে তা আর করেননি।
শাকিব খানের সঙ্গে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরুর পর নায়িকা শবনম বুবলীর বিরুদ্ধে অপু-শাকিবের সংসার ভাঙাসহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। বুবলী তার সন্তানের ছবি প্রকাশ্যে আনার পর সেই অভিযোগ আরো দৃঢ় হয়।
রবিবার ফেসবুক লাইভে এসে সেই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেন বুবলী। তিনি দাবি করেন, চার বছরের বৈবাহিক জীবনে তিনি শাকিবের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। শুধু সন্তান জন্মের সময় ১৫ হাজার ডলার বা ওই সময়ের ডলার মূল্যের হিসাবে প্রায় ১৩ লাখ টাকা নিয়েছেন।
তবে শাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করছে, বুবলীর দাবি সত্য নয়। ভিডিওবার্তায় বুবলী বলেন, ‘সন্তানকে নিয়ে আমেরিকায় থাকার সময়টাতে অনেক বড় অঙ্কের খরচ হয়েছে। প্রায় এক বছরের মতো থাকতে হয়েছিল। তখন তিনি (শাকিব) ১৫ হাজার ডলারের (ওই সময়ের ডলার মূল্যের হিসাবে প্রায় ১৩ লাখ টাকা) মতো হেল্প করেছিলেন। বাকি প্রায় ৩০ হাজার ডলারের মতো আমি নিজে বহন করেছি। টাকার অঙ্কটাও বললাম, কারণ এটা নিয়ে অনেক ভুল নিউজ হয়েছে। গিফট বা উপহারের বিষয়গুলো আলাদা। তবে আর্থিক সহায়তা কখনো নিইনি। ’
তবে শাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, বুবলীর এই দাবি পুরোপুরি ঠিক নয়, বুবলীকে শাকিব একাধিকবার টাকা পাঠিয়েছেন। প্রতিবার পাঠানো টাকার পরিমাণ দুই থেকে আড়াই লাখ।
এদিকে ভিডিওবার্তায় বুবলী বলেন, ‘অনেকে বলে থাকেন, আমি নাকি শাকিব খানের কাছ থেকে অনেক আর্থিক সহায়তা নিই। এই কথাটাও সম্পূর্ণ ভুল। বিয়ে বা আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার পর থেকে আমি কোনো আর্থিক সহায়তা নিইনি। স্বামী বা সন্তানের বাবা হিসেবে অবশ্যই এটা ওনার অনেক বড় দায়িত্ব। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ তার ওপর নির্ভর করে। আমার সন্তানের বয়স তিন বছরের কাছাকাছি, আজ অবধি আমি কখনো আর্থিক সহায়তা নিইনি। সব খরচ নিজেই বহন করছি। ’
সূত্রটি বিভিন্ন তথ্য মৌখিকভাবে দিলেও কোনো কাগুজে তথ্য সামনে আনেনি। তবে শিগগির শাকিব এসবের জবাব দেবেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।