আর্জেন্টিনার কঠিন সমর্থক পরীমণি। মাঠে বসে খেলা না দেখলেও ঘরে বসে টেলিভিশনের সামনে মেসির জন্য গলা ফাটিয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন, মেসির হাতে কাপটা উঠুক। তার চাওয়াই পূরণ হয়েছে। আর তাই এখনও ঘোরের মধ্যে আছেন এই নায়িকা।
দেশের একটি গণমাধ্যমকে পরীমণি বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, এখনও আমি ঘোরের মধ্যে আছি। মনে হচ্ছে এখনও খেলা চলছে। খেলার ফলাফল এই বুঝি কী হয়ে যায়। ঘোরই কাটছে না। আমার বয়সে এমন শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ আগে দেখিনি। খেলা চলাকালে প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে আতঙ্কিত করেছে।’
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) খেলা শুরুর আগে ফলাফল নিয়ে সারাদিন চিন্তায় ছিলেন পরী। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফলাফল কী হবে—এ নিয়ে গতকাল সারাদিনই আমার মধ্যে টেনশন কাজ করছিল।
টেনশন কমাতে খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই আমি শুয়ে পড়ি। রাজ খেলা দেখছিল। যখন মেসিরা দুই গোল দিয়ে দেয়, তখন রাজ আমাকে খবরটি জানায়। আমি চিৎকার দিয়ে আবার খেলা দেখতে বসি।’
ফ্রান্সের সাথে খেলায় প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। পরে যখন গোল শোধ হয়ে যায় তখন পরীর হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। নায়িকা বলেন, ‘যখন গোল পরিশোধ হয়ে যায়, আমার হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। আমি আর টেলিভিশনের সামনে থাকতে পারিনি। ওই সময় আমার যা অবস্থা হয়েছিল, আর্জেন্টিনা হেরে গেলে আমাকে নির্ঘাত হাসপাতালে নিতে হতো রাজকে। ওই সময় আমি পাগলের মতো বারবার বলছিলাম, মেসি তুমি কিছু একটা করো, কিছু একটা করো।’
শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। এই জয় চোখে জল এনে দেয় পরীমণির। কেঁদেই যাচ্ছিলেন তিনি। তার স্বামী শরিফুল রাজ তা গোপনে ভিডিও করেন।