প্রতি বছর শীত এলে হয়তো কম্বল কিনে থাকেন দেশের প্রতিটা মানুষ। তবে বছরের পর বছর কম্বল আরামদায়ক রাখতে কিছু যত্নআত্তি প্রয়োজন। কারণ শীতে কম্বল খুবই আরামদায়ক।
কম্বলের পরিচর্চা না করলে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে প’ড়ে। তাই পাঠকদের জন্য কিছু পদ্ধতি দেয়া হলো,
যেভাবে যত্ন নিলে দীর্ঘদিন কম্বল থাকবে আরামদায়ক।শীতে মাঝে মাঝেই আলো-বাতাসে মেলে দিন কম্বল। খুব ভালো হয়, যদি শুকনো কম্বল ঝুলিয়ে রেখে ভালো করে ঝাড়তে পারেন। এতে সহজেই ধুলো চলে যায়। পুরনো ব্রাশ দিয়ে কম্বল ব্রাশ ক’রতে থাকুন। প’রিষ্কার জায়গায় কম্বল বিছিয়ে একই দিকে ব্রাশ করবেন।
তা হলে কম্বলে আ’টকে থাকা ধুলো বেরিয়ে যাবে। কম্বলে দাগ লাগলে স’ঙ্গে স’ঙ্গে প’রিষ্কার করুন। দাগ তোলার জন্য সরাসরি যে কোনো সাবান ব্যবহার করবেন না। ঠাণ্ডা পানিতে মাইল্ড ডিটারজেন্ট, ক্লাব সোডা মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
নিতান্ত ময়লা না হলে কম্বল চট পানিতে ভিজিয়ে প’রিষ্কার করবেন না। আর প’রিষ্কার ক’রতে হলে কোনো ডিটারজেন্ট দিয়ে ওয়াশিং মেশিনে কম্বল প’রিষ্কার করুন। গরম পানি একদমই দেবেন না। ওয়াশিং মেশিন থেকে বের করে ভিজে কম্বল শো’কাতে দেয়ার আগে শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুড়ে রাখু’ন।
এতে বাড়তি পানি শুষে নেবে। ড্রায়ারের বদলে কম্বল শুকিয়ে নিন বাতাসে। ড্রায়ারে ক্ষ’তি হয় কম্বলের তন্তুর। তবে কড়া রোদে সরাসরি ভিজে কম্বল শো’কাতে দেবেন না। শীতের পরে বছরের বাকি সময় যেখানে কম্বল রাখেন, সেখানে কয়েকটা নিমপাতা ছড়িয়ে রাখু’ন।