এবার কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খুললেন, টলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। তিনি বলেন, আমার বয়স তখন ২০ বছর। জীবনের প্রথমদিকের সিনেমা মুম্বাই গিয়েছিলাম একটা সিনেমা করতে। সেই সময় আমি এক সাংঘাতিক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হই।
সিনেমার প্রযোজক আমাকে খারাপ প্রস্তাব দিয়ে বসে। গত শুক্রবার (৩ জুন) কলকাতায় এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তা ছিলেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার। এই অনুষ্ঠানে নিজের জীবনের বাজে অভিজ্ঞতার কথা জানান তিনি। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মিটু আন্দোলনের পর থেকে হলিউড, বলিউডে সিনেমা করতে এসে নানা সময়ে নায়িকাদের হেন;স্তা হওয়া নিয়ে মুখ খুলেন অনেকেই।
অভিনেত্রী বলেন, তখন আমার বয়স ২০ বছর, মুম্বাই গিয়েছিলাম একটা সিনেমা করতে। সেই সিনেমার প্রযোজক সুযোগ বুঝে খারাপ প্রস্তাব দেন। রীতিমত শারীরিকভাবে ঘনি;ষ্ঠ হওয়ার কুপ্রস্তাব! আমি বারবার বলেছি, এটা করবেন না প্লিজ। আমি এভাবে কখনও কাজ পাইনি, পেতে চাইও না। এ কথা শুনে ওই প্রযোজক ইন্দ্রাণীকে বলেন, তুমি বাঙালি লাড়কিয়ো কা কুছ নাহি হোগা (তোমাদের বাঙালি মেয়েদের এইজন্য কিছু হয় না)।
সেই প্রযোজক ইন্দ্রাণীকে ওইদিন বলেন, বড় বড় হিরোইন তার পায়ের তলায়। জবাবে ইন্দ্রাণী সেদিন দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন, হতে পারে বড় বড় হিরোইন আপনার পায়ের তলায়;
কিন্তু আমি এভাবে কাজ করিনি, আমাকে কলকাতা থেকে ডেকে এনে কাজ দিয়েছেন, কোনো সমঝোতা বা কম্প্রোমাইজ আমি করবো না।
বক্তৃতায় ইন্দ্রাণী বলেন, ওই প্রযোজক সেদিন রীতিমত জোর করতে থাকেন। তবে সেদিন আমায় বাঁচিয়েছেন ঈশ্বর। সেই মুহূর্তে ওই নামী প্রযোজকের বউয়ের ফোন চলে আসে, আমি দৌড়ে দরজা খুলে ফেলি। জোরে জোরে কাশতে থাকি যাতে সেই শব্দ ফোনের ওপারে থাকা প্রযোজকের বউ শুনতে পান। নামকরা ওই প্রযোজক কিছু করতে পারেননি আমার। আমি আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি। ২০ বছর বয়সে সেদিনের সেই ঘটনা পরে আমাকের দহনের ঝিনুক হতে সাহায্য করেছিল।