পটুয়াখালীর প;তি;;তা পল্লীতে বিক্রি হয়ে যাওয়া এক নারী তার স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
ওই নারী লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, বরিশাল সদর উপজেলার ভেদুরিয়া গ্রামে ১৪ বছর আগে কিশোরী বয়সে তার বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় ২ বছর পর তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার কথা বলে তার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে শুরু হয় শা;রী;রিক ও মান;সিক নির্যা;তন। একদিন নির্যা;তনের পরে চিকিৎসার নাম করে তাকে বরিশাল শহরে নিয়ে আসে এবং কিছু ওষুধ খাওয়ায়। সে সময় তার ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল।
সেখান থেকে তাকে পটুয়াখালীতে নিয়ে আসে এবং এক বাসায় রেখে তার স্বামী চলে যায়। পরে ওই নারী জানতে পারেন তাকে পটুয়াখালী পতি;তাল;য়ের দালা;লের কাছে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা নেয়া হয়েছে। আর সেই টাকা দিয়েই বিদেশ যান তার স্বামী। এদিকে ওষুধ খাওয়ার ২০ দিন পরে একটি মৃ;ত সন্তান প্রসব করেন তিনি। দীর্ঘ ১০ বছর প;তি;তাল;য় থেকে মুক্তি মেলে তার। এখন নিজে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন।
তবে সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন তার স্বামী দেশে ফিরেছেন। এমন খবর পেয়ে ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি তার স্বামীর বাড়ি যান। এসময় পথে চন্দ্রমোহন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তার স্বামীকে দেখতে পেলে তার স্বামী তাকে একটি দোকানে নিয়ে বসায় এবং তিনি কেন সেখানে গেছেন সে জন্য তাকে গালম;ন্দ করেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি স্ত্রী বলে দাবি করলে আমার উপর চ;ড়াও হয়। এক পর্যায় ৬নং ওয়ার্ডের ভেদুরিয়ার ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন সুজন ও স্থানীয় গ্রাম্য ডাক্তার লিটন এর সহযোগিতায় পরিষদের এক রুমে আটকিয়ে আমাকে মা;রধ;র করে। ওই সময় আমাদের সঙ্গে থাকা টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, বন্দর থানা পু;লি;শের মাধ্যমে আমাদেরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালীতে পাঠিয়ে দেয়।
ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কি অপরা;ধ করেছি ,আমার জীবনটা কেন এমনভাবে চলবে। আমিতো স্বামীর সংসার করতে চাই। আমাকে যখন বিয়ে করা হয়েছে তখন আমি সবে মাত্র সাবালক হয়েছিলাম। সেই থেকে আমাকে নি;র্যা;তন সহ্য করতে হচ্ছে। আমি আমার স্বামীর কাছে স্ত্রীর অধিকার ফিরে না পেলে আমার ম;রণ ছাড়া কোনো উপায় নাই।