আজকাল হরহামেশাই ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের ভিন্ন রকমের ভিডিও দেখা যায় যার মধ্যে অনেকগুলো ভিডিও হয়ে যায় ভাইরাল ।এমন কিছু ভিন্নধর্মী ভিডিও আছে যা দেখলে আপনার মন ছুয়ে যাবে। আবার এমন অনেক ভিডিও আছে যা আপনার মনকে ভেঙ্গে দিবে। ইন্টারনেটের আদলে আমরা এরকম কিছু ভিডিও সম্মুখীন হই যা আমাদেরকে বন ও পরিবেশ নিয়ে বারবার ভাবিয়ে তোলে।এমন কিছু ভিডিও রাতারাতি ভাইরাল হয় নেট দুনিয়ায়।সেই ভিডিওতে গুলো আছে এক অসম্ভব বন্ধুত্ব এবং শত্রুতা ছাপ।
বন্য পরিবেশে হচ্ছে পৃথিবীর একটি কঠিনতম জায়গা যে জায়গা নেই কোন মায়া দয়া। নেই কারো প্রতি কারো কোন ধরনের সদয়। যেখানে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যদের অস্তিত্বকে নষ্ট করতে রাজি সকলে। এই বন্য পরিবেশে কেউ করছে শিকার আবার কেউ হচ্ছে শিকারী প্রাণীর ভোজনের একমাত্র আস্থা। এই পরিবেশে কেউ কারো নয় সবাই যার যার অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখার যুদ্ধে মেতে আছে।
নিজেদের ক্ষুধার জ্বালা নিবারণ করার জন্য তারা যেকোনো কিছু করতে পিছুপা হয় না। হোক না সেটা যতই ঝুঁকির কাজ। জুকি থাকে তারা তাদের সেই শিকারকে তাদের শিকারে পরিণত করবে। তাদের শিকার টি যদি স্থলে থাকে তারা সেই স্থলে থাকা প্রাণীটিকে নিজেদের খাবার রুপে শিকার করে। হলেও যদি তারা তাদের শিকার খুঁজে না পায় তাহলে তাদের লক্ষ্য থাকে জলজ প্রাণীর দিকে। তারা জলের প্রাণীদের কেউ আক্রমণ করতে পিছুপা হয় না। বাঘ ও কুমির তাদের মধ্যে থাকে সবসময় শত্রু থাকে।তার শত্রুতামি করতে পছন্দ করে।
বাঘ সচারচর হরিণ, মোষ, উটপাখি, বন্যশুয়োর আরো অন্যান্য প্রানী শিকার করে আমরা সকলে তা জানি কিন্তু কুমীর শিকার করা কথাটি কেমন অদ্ভুত শোনাই। বিশ্বাস না হলে ভিডিওটি একবার হলে দেখুন। কারন ক্ষুধার্ত পেট কখনো বাত বিচার করেনা। তো একবার কি হয়েছে কয়েকদিন ঠিকঠাক শিকার না পাওয়াই এক জাগুয়ার বাঘ সিদ্ধান্ত নিল কুমীর শিকার করবে মানে এক হিংস্র প্রানী আরেক হিংস্র প্রানীকে শিকার করবে।
ব্যাস যেমনি ভাবা তেমনি কাজ সে জঙ্গলের এক গভীর জলাশয়ের ধারে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো দীর্ঘক্ষন ধরে। তারপর ধৈর্য হারিয়ে বাঘটি জলে নেমে পরে ও সাঁতরে আরেক পারে যেতে লাগে। তারপর বাঘটি দেখতে পাই পারে একটি বিশালাকার কুমীর আরামে ঘুম দিচ্ছে ব্যাস সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘুমন্ত কুমীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এদিকে কুমীর প্রথমে বুঝতে না পেরে থতমত হয়ে যায়। এরপর শুরু হয় দুজনের লড়াই কেউ দমবার নই।
কুমীর তার বড় বড় দাঁত দিয়ে বাঘকে আহত করে আবার বাঘও তার ধারালো নখ দিয়ে কুমীরকে ছিন্নভিন্ন করে দেই। কয়েক মিনিট চলে এই একের বিরুদ্ধে পাঁচের লড়াই। সেই সময় রণক্ষেত্রে হাজির হয় আরও কয়েকটি বাঘ। এবার বিষয়টা একেবারেই অসম লড়াই হয়ে যাচ্ছিল কুমিরের পক্ষে। একটিকেই কাবু কার সম্ভব হচ্ছিল না, তার ওপর আরও কয়েকটি বাঘ যদি পাল্টা আক্রমণে নামে তবে প্রাণটাই খোয়া যেতে পারে। তাই শেষপর্যন্ত ময়দান ছেড়ে চলে যেতে হয়।
এরপর কুমীর বেগতিক দেখে পরিমরি করে ছুটতে থাকে। পেছন পেছন বাঘও ছুটে কিন্তু শেষে কুমীর বাঘের কাছে আত্মসমর্পণ করে। আর বাঘ বাবাজী কুমীরকে শিকার করে রসিয়ে রসিয়ে ফাইন ক্রোকোডাইল ডিশ খেয়ে ফেলে। গল্পটি শুনে বিশ্বাস না হলে একবার হাতে সময় নিয়ে পুরো ভিডিওটি এক নিঃশ্বাসে দেখুন। আর জঙ্গলের নিয়ম বড়ই কঠিন। কারন এখানে কে কখন কার হাতে মারা পড়বে বা শিকার হয়ে যাবে তা কেউ জানেনা। প্রকৃতির নিয়ম কেউ খন্ডাতে পারবেনা।