মেঘে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ চার্জ জমা হলে মাঝখানের বাতাসের বাধা অতিক্রম করে মাটিতে চলে আসে, এটাই বজ্রপাত। এ সময় বিদ্যুৎ চমকায়। মেঘে মেঘে ঘর্ষণেও বিদ্যুৎ চমকাতে পারে। সমগ্র পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ড ৪০-৫০ বার বিদ্যুৎ চমকায়। কই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের খুব সুস্বাদু মাছগুলোর অন্যতম। বর্তমানে এটি খুব দামী মাছ হিসাবে পরিচিত। এটি মিষ্টি জলের মাছ। সাধারণত নদী, খাল এবং বিলে পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে পুকুরেও চাষ করা যায়। বাংলাদেশে দুই ধরনের কৈ মাছ চাষ হয়।
এই ধরন দুটি হলো- বাংলাদেশের স্থানীয় কই বা দেশী কৈ ও থাই কৈ। চাষের ক্ষেত্রে চাষীরা থাই কৈ-কে সবচেয়েবেশি পছন্দ করেন। কারণ প্রতি চার মাসে থাই কৈ-এর বৃদ্ধি যেখানে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত হয় সেখানে দেশী কৈ-এর বৃদ্ধি হয় মাত্র ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম। কৈ চাষের জন্য ২০-২৫ শতাংশ আয়তনএবং ১.০-১.৫ মিটার গভীর পুকুর সবচেয়ে উপযোগী। কৈ মাছ পাড় বেয়ে ডাঙায় উঠে আসে।
এ্ জন্য একটু খাড়া পাড়যুক্ত পুকুর হলে ভালো হয়। এছাড়া বাঁশের তৈরি বেড়া বা নাইলনের জাল দিয়ে পুকুরের চার দিকে বেড়া দিয়ে কৈ চাষ করা হয়। যথাসম্ভব জলজ আগাছা মুক্ত পরিবেশ এই মাছের জন্য বেশ উপযোগী। পুকুরে প্রতি শতাংশে ১ কেজি চুন প্রয়োগের ৪-৫ দিন পর শতাংশ প্রতি ৮-১০ কেজি গোবর, ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। প্রাকৃতিক উৎস বা হ্যাচারী থেকে সুস্থ্য ও সবল পোনা সংগ্রহ করে প্রতি শতাংশে ২৫০-৩০০ টি পোনা মজুদ করা যায়।
এরপর মাছের দেহ ওজনের শতকরা ৬-৮ শতাংশে হারে ৩৫-৪০ শতাংশ আমিষযুক্ত সম্পূরক খাবার দিনে ৩ বার দিতে হবে। এ জন্য সকাল, দুপুর ও বিকেলে দিতে হবে। যথাযথ নিয়মে পরিচর্যা করলে ৬ মাসের মধ্যে কৈ মাছ গড়ে ৪০-৫০ গ্রাম হয় এবং প্রতি শতাংশে ৮-১০ কেজি উৎপাদন পাওয়া যায়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে কই মাছের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং সুস্বাদু বটে। সম্প্রীতি , এমনই একটা ঘটনা ঘটেছে যা আকাশে বিদ্যুৎ চমকাতেই মাঠের মধ্যে উঠে এল কই মাছ, গ্রামের ছেলেরা আনন্দের সাথে মাছ ধরল, তুমুল ভাইরাল হল ভিডিও!