চলতি বছরই লালমাটিয়ায় সংগীত পরিচালক রেজওয়ান শেখের স্টুডিওতে চারটি গানে কণ্ঠ দেন সালমা। সন্ধ্যা ৬টা ৩০ থেকে রাত ৮টা ৩০। সময় মাত্র দুই ঘণ্টা। আর এই দুই ঘণ্টাতেই সালমা গীতিকার,সংগীত পরিচালকদের অ’বাক করলেন। মাত্র দুই ঘণ্টাতেই টানা রেকর্ড করলেন চারটি গান। কোনো বিরতি নেননি তিনি। পর পর গানগু’লো গেয়ে ফেললেন। আর গানগু’লো শুনেও মুগ্ধ স্টুডিওতে উপস্থিত সবাই।
এ গায়িকা বলেন, আ’সলে এটা এখন অভ্যাসে প’রিণত হয়েছে। দ্রুতই গানগু’লো ক্যাচ করে ফেলার একটা অ’ভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। যে চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি সেগু’লো একটা থেকে আরেকটা একদমই আ’লাদা। চেষ্টা করেছি, ভালো’ভাবে সবগু’লো গান গাওয়ার। জা’না গেছে, ‘ভালোবাসা দিবস’ উপলক্ষে, গানগু’লো প্র’কাশ হবে বিভিন্ন ব্যানার থেকে।
এদিকে সালমা বর্তমানে তুমুল ব্যস্ত সময় পার করছেন নতুন গান নিয়ে। চলতি জানুয়ারিতেই কমপক্ষে এক ডজন নতুন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। শোও করছেন টুকটাক করে। এরইমধ্যে করো’না র কারণে সম্মানীও কমিয়েছেন তিনি। সালমা বলেন, করো’না র এ প’রিস্থিতি মা’থায় রেখে সংগীতা’ঙ্গনের ভালোর জন্যই সম্মানী কমিয়েছি।সহনীয় সম্মানীতে যেন ছোট-বড় কোম্পানিগু’লো কাজ ক’রতে পারে, সেজন্যই এমন সি’দ্ধা’ন্ত নিয়েছি। জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার প্রা’প্ত অ’ভিনেতা কাবিলা। তার প্রকৃত নাম নজরুল ইস’লাম শামীম।
সিনেমা’র জনপ্রিয় খলনায়ক হিসেবে সুখ্যাতি পেয়েছেন অল্প সময়েই। ভিলেন হিসেবে পর্দা কাপাতে কাবিলা একাই ছিলেন যথেষ্ট। আর শেষ হয়ে গেছে সেই সোনালী দিনগু’লো। আর পর্দা কাঁপাবেন না কাবিলা! কণ্ঠনালির স’মস্যার কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রা’প্ত অ’ভিনেতা কাবিলা নিজে আর, কোনো সিনেমায় কণ্ঠ দিতে পারবেন না।
শোনা যাব’ে না তার কণ্ঠে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ। কাবিলা দীর্ঘ দিন ধ’রে কণ্ঠনালি স’মস্যায় ভু’গছেন । চিকি’ৎসকের প’রাম’র্শ মতো খুব বেশি জরুরী না হলে তিনি কথা বলতে পারবেন না। বর্তমানে তিনি আর কোনো সিনেমা’র ডাবিং করছেন না।
এখন তার অ’ভিনীত চরিত্রে কণ্ঠ দিচ্ছেন অন্য কেউ। কাবিলার ঘনিষ্ঠ সূত্রে এমনটাই জা’না গেছে। স’ম্প্রতি কাবিলা অ’ভিনীত সিনেমা ইনোসেন্ট লাভ-এর ডাবিং করছেন অন্য এক ব্য’ক্তি। বি’ষয়টি নি’শ্চিত ক’রেছেন সিনেমাটির পরিচালক রানা। কাবিলা ১৯৮৮ সালে যন্ত্র’ণা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অ’ভিনয় জীবন শুরু করেন। তার প্রকৃত নাম নজরুল ইস’লাম শামীম।
প্রথম দিকে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অ’ভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পরবর্তীতে কমেডিয়ান হিসেবে আরও বেশী জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। এক টাকার বউ, সবার উপরে তুমি, এবাদত, আমা’র প্রা’ণের প্রিয়া, জ’ন্ম তোমা’র জন্য, আমা’দের ছোট সাহেব,
তুমি আমা’র প্রে’ম, বাবা আমা’র বাবা, তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা, তোমাকে বউ বানাবো, প্রে’মিক নাম্বার ওয়ান, ফুল অ্যান্ড ফাইনালসহ অসংখ্য সিনেমায় অ’ভিনয় ক’রেছেন এ অ’ভিনেতা।
কাবিলা অন্ধকার চলচ্চিত্রে অ’ভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অ’ভিনেতা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এ ছাড়া ভালোবাসা আজকাল সিনেমা’র জন্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার লাভ করেন।