কঠিন পরিশ্রম করার মানসিকতা এবং সাথে লক্ষ্য যদি থাকে স্থির তাহলে সাফল্য ধরা দেবেই। এই গল্প OYO এর প্রতিষ্ঠাতা রিতেশ আগরওয়ালের, যার বর্তমান সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় 70,000 কোটি টাকা! রিতেশ এর তৈরি করা OYO আজ বিশ্বের জনপ্রিয় কয়েকটি হোটেল বুকিং অ্যাপ এর একটি। কমদামের মধ্যে সাধ্যমত হোটেল খুঁজে নিতে জুড়ি নেই OYO অ্যাপ এর।
৮ বছর বয়স থেকেই কোডিং এ আগ্রহ ছিল রিতেশের।16 বৎসর বয়সেই তিনি TIFR (টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ) এ আয়োজিত এশিয়ান সায়েন্স ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত হন। এরপর 17 বৎসর বয়সেই তার ব্যবসার ধারণাকে কাজে লাগিয়ে 18 বছর বয়সেই হয়ে যান কোম্পানির CEO।
ঘুরতে গিয়ে এই ব্যবসার ধারনা আসে রিতেশের। বাইরে বেরিয়ে সস্তার হোটেল খুঁজতেন তিনি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই পাওয়া যেতো না সস্তার হোটেল, বা পাওয়া গেলেও সেই হোটেলের অবস্থা ছিল খুবই খারাপ।
তার উদ্দেশ্যই ছিল এমন মডেল বানানো যাতে ভ্রমণের সময় সস্তায় হোটেলের ব্যবস্থা করা যায়। 18 বছর বয়সেই রিতেশ “ওরাভাল-স্টে” নামে একটি সংস্থা খোলেন। এই কোম্পানির একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল অল্প সময়ের জন্য কম দামে ভ্রমণকারীদের হোটেল সরবরাহ করা। এরই মধ্যে তিনি বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতা জিতে 66 লাখ টাকা পেয়েছিলেন। সমস্ত টাকাই তিনি তার কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ব্যবসায়িক মডেলটি কাঙ্খিত মুনাফা দিতে ব্যর্থ হয় যার কারণে “ওরাভেল-স্টে” কোম্পানিটি ধীরে ধীরে লোকসানে চলে যায়।
এরপরও হাল ছাড়েননি রিতেশ। নতুন করে “OYO Rooms” প্রতিষ্ঠা করেন। এই OYO রুমগুলির উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভ্রমণকারীদের হোটেলে রুম খোঁজাই নয়, হোটেলে প্রদত্ত সমস্ত সুযোগ-সুবিধার মানের দিকেও খেয়াল রাখা। মাত্র 10 মাস পর কোম্পানিটির মূল্য দাঁড়ায় 80 মিলিয়ন ডলার। Sequoia Capital-এর সহযোগিতায় Lightspeed Venture Partners রিতেশের কোম্পানিতে আরও 360 মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছে। এরপর একের পর এক ফান্ড পেয়েছে কোম্পানিটি।
OYO Rooms-এর আজ 15000 টিরও বেশি হোটেলের একটি চেইন এবং এটি 1,000,000 রুম দিতে পারা দেশের বৃহত্তম কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। যদিও এই সময়ে সেই একইরকম মডেল নিয়ে এগিয়ে এসেছে আরো অনেক কোম্পানি কিন্তু OYO রুম এর সামনে দাঁড়াতে পারেনি তারা।