সাদার্ন ব্রাউন এগ-ইটার গোত্রের একটি দু’মুখো সাপ তাঁর হাতে এসেছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি-সহ পোস্ট করেছেন সরীসৃপ সংরক্ষণবিদ নিক ইভান্স। জানিয়েছেন, উত্তর ডারবানের ব্রাই এলাকায় তিনি ৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের এই সাপটি পেয়েছেন এক স্থানীয়ের থেকে। সাধারণত, এই সাপটি ৩০ ইঞ্চির মতো লম্বা হয়। তাই এটি বাচ্চা সাপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
ব্যাপারটা তা হলে আর নিছক কথার কথা রইল না! বাস্তবিকই দু’মুখো সাপের দেখা মিলল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সাদার্ন ব্রাউন এগ-ইটার এমনিতে তেমন বিষধর নয়। আর পাঁচটা সাপের মতো এরও একটাই মাথা-মুখ। তবে সম্প্রতি সাদার্ন ব্রাউন এগ-ইটার গোত্রের একটি দু’মুখো সাপ তাঁর হাতে এসেছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি-সহ পোস্ট করেছেন সরীসৃপ সংরক্ষণবিদ নিক ইভান্স। জানিয়েছেন, উত্তর ডারবানের ব্রাই এলাকায় তিনি ৩০ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের এই সাপটি পেয়েছেন এক স্থানীয়ের থেকে।
সাধারণত, এই সাপটি ৩০ ইঞ্চির মতো লম্বা হয়। তাই এটি বাচ্চা সাপ বলেই মনে করা হচ্ছে। নিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ”সাদার্ন ব্রাউন এগ ইটার রাতে ঘুরে বেড়ায়। একটুও বিষাক্ত নয়। তবে এই দু’মুখোটির ক্ষেত্রে সমস্যা হল, এটি কোন দিকে যেতে চাইছে, তা বোঝা যায় না। একটা মাথা এক দিকে, আর অন্যটি আর এক দিকে যেতে চায়।”
দিনকয়েকের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নিক দাবি করেছেন, বিশ্রাম নেওয়ার সময়ে এই সাপটি একটি মাথার উপর দ্বিতীয়টি রাখে। বিভিন্ন পাখির ডিম খায় এই সাপ। মুখে দাঁত নেই, তবে একসঙ্গে অনেকগুলো ডিম মুখে ফেলে পরে শুধু খোসা উগরে দিতে দেখা গিয়েছে এটিকে।
তাজ্জব তো বটেই। তবে দু’মুখো সাপের দেখা কিন্তু এ দেশেও মিলেছিল। বছর দুয়েক আগে মহারাষ্ট্রের কল্যাণের গান্ধারে রোড এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল দু’মুখো রাসেলস ভাইপার! লম্বায় ১১ সেমি, তবে ভয়ঙ্কর বিষধর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিরল হলেও দু’মুখো সাপ অসম্ভব নয়। যমজ সাপ জন্মের আগে আলাদা হতে না-পারলে এই অবস্থা হয়। যাকে বলে বাইসফেলি। মানবসন্তানের ক্ষেত্রেও কখনও এমন অস্বাভাবিকত্বের লক্ষণ ফুটে ওঠে। তবে সর্প বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি দিন প্রকৃতিতে বাঁচতে পারে না দু’মুখো সাপ