টানা ৩ দিন ধরে নদীতে জাল ফেলেও একটা মাছের দেখা মিলল না। বরং সে জায়গায় অন্য কিছু ধরা দিল জালে। নদীর ২ ধারের গাছে বাঁধা হয়েছিল বিশাল জালের ২টি দিক। আর জালটিকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল জলে। জলের ২ মিটার নিচু পর্যন্ত পাতা হয়েছিল জাল।ভারতে এ এক বহু প্রাচীন মাছ ধরার কৌশল। যাতে এই জলে ডুবে থাকা জালে ধরা পড়ে মাছ। তারপর তা মৎস্যজীবীরা তুলে নেন ডাঙায়।
কিন্তু এক্ষেত্রে একটা মাছও জালে পড়ল না। এদিকে জালও সামান্য সময় নয়, টানা ৩ দিন ধরে পেতে রাখা হয়েছিল। তবে মাছ না ধরা পড়লেও কাজের কাজটা হয়েছে। ঠিক যে কথা মাথায় রেখে জাল পাতা সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।ঘটনাটি মুম্বই শহরের কাছে ভারসোভা মালাড খাঁড়িতে ঘটেছে। এই খাঁড়িটি সোজা গিয়ে পড়েছে আরবসাগরে। এটাকে স্থানীয়রা নদী হিসাবেই নিয়ে থাকেন।
এবার সেখানে ভারতীয় প্রাচীন মাছ ধরার রীতি ফিরিয়ে এনে মাছ নয়, জঞ্জাল সাফাইয়ে দারুণ উপকার হল। ৩ দিনে ওই মাছ ধরার জালে ৫০০ কেজি জঞ্জাল আটক হয়েছে। যা ওখানে না আটকানো হলে সোজা ভেসে গিয়ে পড়ত আরবসাগরের জলে।
জালটি ২ মিটার পর্যন্ত নামিয়ে তারপর আর নামানো হয়নি। ফলে তার তলা দিয়ে মাছ সহ জলের অন্য প্রাণিরা দিব্যি ঘোরাফেরা করতে পেরেছে। আর সেজন্যই জালে একটাও মাছ ধরা পড়েনি। ধরা পড়েছে কেজি কেজি জঞ্জাল। এভাবেই মুম্বইয়ের আশপাশের নদী বা নালাগুলিতে মাছ ধরার জাল পেতে জঞ্জাল ধরার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।