তুমি এসেছিলে পরশু, কাল কেন আসোনি….’ মনে পড়ে গানটির কথা? এই গানে পর্দা মাতানো
জুটির কথা মনে পড়ে? ঠিক তাই। নাঈম-শাবনাজ। নব্বই দশকে বলা যায় সিনেমাপ্রেমীদের কাছে
অনেকটা স্লোগানে পরিণত হয়েছিল জুটি। তারা পর্দার রোমান্সকে বাস্তব জীবনেও সত্যি করে তুলেছেন।
ভালোবেসে বিয়ে করেছেন নাঈম ও শাবনাজ। শোবিজে সুখী দম্পতিদের মধ্যে এগিয়ে রাখা হয় তাদের।
অভিনয়ে এখন আর তারা নেই। সংসার-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান। দুই সন্তানের জনক-জননী তারা।
সম্প্রতি নাঈম-শাবনাজ আলোচনায় এসেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবির জন্য। নাঈম-শাবনাজ নামের একটি আইডি থেকে দেখা গেছে গত কয়েক দিন বেশকিছু ছবি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে নায়ক নাঈম কখনো ক্ষেতের মধ্যে বসে আছেন, নিড়ানি দিচ্ছেন, কখনোবা দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি।
কখনোবা তিনি জেলেদের সঙ্গে হাজির ফেসবুকে। দেখা যাচ্ছে প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে জেলেদের হাতে। ক্যাপশন দিয়ে জানানো হচ্ছে এগুলো নাঈম-শাবনাজের জমিতে চাষ করা মাছ। প্রকৃতি, সবুজের সান্নিধ্য যে এই অভিনেতা বেশ উপভোগ করছেন তা বোঝা যাচ্ছে তার হাসিমাখা ছবিগুলো দেখেই। প্রিয় অভিনেতার ছবিগুলো তার ভক্তরাও বেশ উপভোগ করছেন।
তবে ছবিতে কোথাও শাবনাজের দেখা মেলেনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফেসবুকে পোস্ট করা নাঈমের ছবিগুলো টাঙ্গাইলে দেলদুয়ার থানার পাথরাইলে। মিডিয়া থেকে আড়ালে চলে যাওয়া নায়ক নাঈম পৈতৃক ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। তিনি নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র বংশধর।
মায়ের সূত্রে তিনি টাঙ্গাইল করটিয়া জমিদার বাড়ির সন্তান। সেখানেই তিনি লোক লস্কর নিয়ে কৃষিকাজে মনোনিবেশ করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে প্রয়াত বিখ্যাত পরিচালক এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন নাঈম-শাবনাজ জুটি। নাঈম ও শাবনাজ একত্রে প্রায় ২১টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাদের একসঙ্গে অভিনীত শেষ ছবি ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।