সেলিম জানান, তিনি ছয় মাস ধরে রান্নায় মুলার বীজ থেকে উৎপাদিত তেল ব্যবহার করছেন। তিন কেজি মুলার বীজ থেকে এক কেজি তেল উৎপাদন হয়। বর্তমানে এক কেজি মুলার তেল উৎপাদনে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়।
দেশে সয়াবিন তেলসহ সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমন পরিস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার কোটগাঁও এলাকায় মোহাম্মদ সেলিম মুলার বীজ থেকে উৎপাদন করছেন ভোজ্যতেল। সেই তেল নিয়মিত ব্যবহারও করেন তিনি।
সেলিম জানান, তিনি ছয় মাস ধরে রান্নায় মুলার বীজ থেকে উৎপাদিত তেল ব্যবহার করছেন। তিন কেজি মুলার বীজ থেকে এক কেজি তেল উৎপাদন হয়। বর্তমানে এক কেজি মুলার তেল উৎপাদনে সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা খরচ হয়।
তিনি বলেন, ‘এখন খরচ বেশি হচ্ছে। সরকারি পর্যায়ে মুলার বীজ সংরক্ষণ করা হলে খরচ অনেকাংশে কমবে। আমি সরিষা, বাদাম, কালিজিরা কুমড়ার বীজ থেকে তেল উৎপাদন করি এবং বিক্রি করি। আমাদের দেশে মুলার দাম অনেক কম, যার জন্য এর বীজ সংরক্ষণ করলে সয়াবিনের চেয়ে কম দামে তেল উৎপাদন সম্ভব।
‘আমি ছয় মাস আগে দোকান থেকে বীজ কিনে তেল উৎপাদন করে ব্যবহার করে আসছি। তেলের ঘনত্বের কারণে সয়াবিন তেলের চেয়ে তরকারি রান্নায় পরিমাণে কম লাগে।’
সেলিম বলেন, ‘চায়নার তৈরি মেশিন ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনি। এটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তেল তৈরি করে বিক্রি করি। তবে মুলার তৈরি তেল এখনও বিক্রি করিনি, নিজের জন্য ব্যবহার করে আসছি।
‘মুলার তেল তৈরির বাকি উচ্ছিষ্ট উপাদান ৫০ টাকা কেজি দরে মাছের খাদ্য এবং গাছের সার হিসেবে বিক্রি করি। অনেকে গৃহপালিত পশুকে বাচ্চা হওয়ার পর এটি খাওয়ায়।’
সেলিমের স্ত্রী মৌসুমী দেওয়ান বলেন, ‘আমার স্বামী সব সময় বিভিন্ন ধরনের তেল বিক্রি করেন। সব সময় তাকে সহযোগিতা করি। ছয় মাস ধরে মুলার বীজ থেকে উৎপাদিত তেল তৈরি করি। ডিম পোচ, মাংস, মাছসহ বিভিন্ন তরকারি রান্না করি। পরোটা তৈরি করতে গেলে একটু গন্ধ থাকে, তবে অন্যান্য খাবারের গন্ধ নেই।’ সরকারি পর্যায়ে মুলার বীজের তেল কৃষি গবেষণা অধিদপ্তর থেকে গুণগত মান এবং উপকারিতা নির্ণয়ের দাবি সেলিমের।
Priyo Bangla 24 – Most Popular Bangla News The Fastest Growing Bangla News Portal Titled Priyo Bangla 24 Offers To Know Latest National And Local Stories.