প্রতিটি প্রানীই শিকার করার জন্য তার নিজস্ব কায়দা ব্যবহার করে। বাস্তুসংস্হানের প্রতিটি প্রানীকে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে তাদের শিকারের কায়দায় অভিনবতা ব্যবহার করতে দেখা যায়। জেলে শ্রেনীকে আমরা মাঝে মাঝে প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে অভিনব উপায়ে মাছ শিকার করতে দেখি। সাধারনত জেলেরা খালি হাতে বা জাল দিয়ে মাছ শিকার করে।
তবে মাঝে মাঝে আমরা দেখতে পাই কিছু জেলে অভিনব পদ্ধতিতে মাছ শিকার করছে। অভিনব এসব কায়দা শিকারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শিকারের পরিমান বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। মাঝে মাঝে শিকারীরা শিকারী প্রানীকে ব্যবহার করে অভিবন পদ্ধতিতে শিকার করে থাকে। জাপান এবং চীনে পানকৌড়ি পাখিকে ব্যবহার করে মাছ শিকার করা হয় । এটি চীনে একটি সুপ্রাচীন পদ্ধতী যা প্রায় ১৫০০ বছর ধরে চলে আসছে। তবে চীনের বাইরে এটি এখনো সংশয়। এ পদ্ধতিতে দরকার বিশেষ প্রশিক্ষণ।
জাপানিজ ও চায়নিজ মাছ শিকারীরা তাদের পানকৌড়ি পাখিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়। পানকৌড়ির গলায় তারা শক্ত করে সুতা দিয়ে বেধে দেয় যাতে বড় আকারের কোনো মাছ গিলে ফেলতে না পারে। তবে শিকারের সময় ছোট আকারের মাছ পানকৌড়ি গিলে খেয়ে ফেলে। শিকারীর ছোটো ভেলায় একাধিক পানকৌড়ি নিয়ে গলায় শক্ত করে সুতা দিয়ে বেধে পানিতে নামিয়ে দেয়। এসব পানকৌড়ি পানিতে ঘুরে বেড়ায় ও মাছের খোজ করতে থাকে।
মাছ দেখা মাত্রই এরা ডুব দিয়ে মুখে মাছ পুড়ে নেয়। তখন শিকারী সুতা টেনে পানকৌড়ি ভেলায় তুলে আনেন আর গলা থেকে মাছ বের করে আনেন। সম্প্রতি মাছ শিকারের এমনি একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে। বাবা এবং যুবক পানকৌড়ি দিয়ে মাছ শিকার করছে।
ছোটো একটি নৌকায় ৫-৬ টি প্রশিক্ষিত পানকৌড়ি নিয়ে গলায় শক্ত করে সুতা দিয়ে বেধে পানিতে নামিয়ে দেয়। পানিতে ভেসে পানকৌড়ি মাছের উপর নজর রাখে আর চোখের পলকে ডুব দিয়ে মাছ তুলে আনে। তখন যুবক সুতা টেনে পানকৌড়িটি নৌকায় তুলে আনে এবং মাছ সংগ্রহ করে। মাছ সংগ্রহ করার পর আবার পানকৌড়ি পানিতে ছেড়ে দেয়।
ছোটো মাছ হলে মাঝে মাঝে সেগুলো পাখিদের খাওয়ায়। মাত্র কয়েকটি পাখি দিয়ে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই যুবক প্রচুর মাছ শিকার করে ফেলে। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নৌকায় মাছ রাখার জায়গা মাছে পরিপূর্ণ হয়ে যায় এবং বাবা ছেলেকে উল্লাস করতে দেখা যায় ভিডিওতে।