‘ছেলে হোক, মেয়ে হোক- দুটি সন্তানই যথেষ্ট।’ এমন প্রচারণা থাকার পরেও আমাদের সমাজে অনেক পরিবারে দুয়ের অধিক সন্তান দেখা যায়। এবং এটি অস্বাভাবিক নয়। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও অনেক পরিবারে ৫-৭ জন সন্তান দেখা যায়। তবে একই মায়ের গর্ভে একে একে ৪২ সন্তানের জন্ম- এমন ঘটনা শোনা যায় না। এমন এক মায়ের দেখা মিলেছে উগান্ডায়।
আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় এমনিতেই জন্মহার বেশি। খুব বেশি উন্নত দেশ না হওয়ায় অনেকে বেশি সন্তান নিতে চান না। তবে ব্যতিক্রম মরিয়ম নাবাতানজি। তিনি ৩৬ বছর বয়সেই জন্ম দিয়েছেন ৪২ সন্তান।
ছোটবেলায় বাবা-মা হারিয়ে মরিয়ম বিপাকে পড়েন। মানুষ হন দাদীর কাছে। এরপর মাত্র ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় একজনের সঙ্গে। বিয়ের প্রথম বছরেই তিনি জন্ম দেন যমজ সন্তান। যমজ সন্তান পরিবারে সুখ বয়ে এনেছিল। তবে সেই সুখ স্থায়ী হয়নি মরিয়মের। এরপর টানা চার বছর চারবার মরিয়ম জন্ম দিয়েছেন যমজ সন্তান। এরপর চারবার মরিয়ম জন্ম দিয়েছেন তিনটি করে সন্তান। এবং পরে পাঁচবার জন্ম দিয়েছেন চারজন করে সন্তানের। সব মিলে ৩৬ বছর বয়সে তিনি ৪২ সন্তানের মা। এদের ভেতর ৬ সন্তান মারা গেছেন। বর্তমানে সবচেয়ে বড় সন্তানের বয়স ২৪ এবং সবচেয়ে ছোটটির ৬ বছর।
তবে মরিয়মের এমন সন্তান জন্মদানের কারণ নিয়ে বিপাকে পড়েন চিকিৎসকেরা। কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কাজ করছিল না মরিয়মের ক্ষেত্রে। চিকিৎসক জানান, অন্য নারীর তুলনায় মরিয়মের ডিম্বাশয় অনেক বড় এবং সন্তান প্রজনন ক্ষমতাও বেশি। তাই এতগুলো সন্তানের জন্ম দিয়েছেন মরিয়ম।
বর্তমানে মরিয়মের বয়স ৪২। এখন আর তিনি মা হতে পারবেন না। কারণ চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় বর্তমানে তার প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে। তবে তার স্বামী তাকে এবং সন্তানদের রেখে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। আর এতেই বিপদে পড়েছেন মরিয়ম। সন্তানদের ভরণপোষণের জন্য তাকে প্রতিদিন পরিশ্রম এবং দুশ্চিন্তা করতে হয়।
বলাবাহুল্য মরিয়ম নাবাতানজির এ ঘটনা ব্যতিক্রম। তবে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ২২ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন রাশিয়ার ক্রিস্টিনা ওজতুর্ক। ক্রিস্টিনা ও তার স্বামী গালিপ সারোগেসি পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তাদের ইচ্ছে শত সন্তানের বাবা-মা হওয়া।