দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। সম্প্রতি তার বড় ছেলে শাফকাত আসিফ রণর বাগদান সারলেন। কনের নাম ইসমত শেহরীন ঈশিতা। শনিবার দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে রণ-ঈশিতার বাগদান সম্পন্ন হয়।
কনেকে ছোট্টবেলা থেকেই চিনেন আসিফ আকবর। পছন্দের এই মেয়েকে নিজের পুত্রবধু হিসেবে পেয়ে বেজায় খুশি এই গায়ক।
এ নিয়ে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন আসিফ আকবর। তিনি লেখেন, ‘চলতি ২০২২ সাল আমার জীবনে আবারো ফিরিয়ে এনেছে সফলতার ২০০১ সাল। অনেকদিন পর ফিরে পেয়েছি প্রায় ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া আনন্দগুলো। শরতের ঝকঝকে ত্বকত্বকে রৌদ্রজ্জ্বল নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলায় ভাসছে আমার পরিবার। আমার পাঁচমাস বয়সী মেয়ে আইদাহ্ আসিফ রঙ্গনের বাবা হবার পরপরই বাসায় বেজে উঠলো বিয়ের সানাই। আমাদের বড় সন্তান শাফকাত আসিফ রণ’র অ্যানগেজমেন্ট হয়ে গেল ২৪শে সেপ্টেম্বর, আলহামদুলিল্লাহ্।’
আসিফের আরও লেখেন, ‘মাস ছয়েক আগে আমার ফুপাতো ভাইয়ের ছেলের বিয়ে দিলাম বর্তমান মহামান্য জেলা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে, এবার আমার ছেলে শাফকাতের বিয়ে হচ্ছে বর্তমান মাননীয় জেলা গোপলগঞ্জের কাশিয়ানীতে। দুটো জেলার সাথে একেবারে ব্র্যান্ড নিউ সম্বন্ধ । আমার বেয়াই জনাব ইমতিয়াজ হোসেন সাহেবের কনিষ্ঠা কন্যা ইসমত শেহরীন ঈশিতা, শাফকাত আমাদের যৌথ পরিবারের বড় ছেলে। একটা আদুরে পরিণয়ের দ্বারপ্রান্তে দুই পরিবারের আবেগ, এর চেয়ে খুশীর খবর আর হতেই পারেনা। চমৎকার হাসিখুশী সুখী একটি একান্নবর্তী পরিবারের সাথে একীভূত হতে পেরে খুব ভাল লাগছে। আমি কুমিল্লাবাসী হিসেবে এখন গোপালগঞ্জের বেয়াই হয়ে গেলাম।’
জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী লেখেন, ‘জীবন সংগ্রামে বহু বন্ধুর পথ পেরিয়ে এসে আজ নিজেকে অনেক সুখী মনে হচ্ছে। দুজনই পড়াশোনার পাশাপাশি জব করছে। ঈশিতার ছোট্টবেলা থেকেই তাকে চিনি, লক্ষ্মী মেয়েটাকে মনে মনে পুত্রবধু হিসেবে চেয়েছি। মহান আল্লাহ সহায় হয়েছেন, আমার ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিয়ের যাবতীয় উৎসব হবে। হাতে একদম সময় নেই। নিজের কাজ থেকে ছুটি নিলাম দশদিনের জন্য, প্লীজ ইন্ডাষ্ট্রীর কেউ পেমেন্ট দেয়া ব্যতীত কাজের জন্য এই সময়ে আদেশ দিবেন না। সবার দোয়া চাই আমার সত্য সরল সহজ ছেলে রণ আর আদরের বৌ’মা ঈশিতার জন্য। শ্বশুররুপে আবারো মেয়ের বাবা হয়েছি, স্বার্থক এক জনমে মহান আল্লাহর প্রতি শুধুই কৃতজ্ঞঁতা জানাই। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ্য থাকুন, সুন্দর থাকুন। ভালবাসা অবিরাম।’