ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে সরকারি আদেশ হাতে পাওয়ার পর দলটির নিবন্ধন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।
রবিবার (১১ মে) ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
এর আগে শনিবার রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবির মুখে জরুরি বৈঠকে বসে অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনে দলটির বিচার হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া দলটিকে এখন জুলাই আন্দোলন দমনে ‘মানবতাবিরোধী’ অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। দলের নেতা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি ছিল অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। তবে ওই দাবিতে জোরালো আন্দোলন শুরু হয় তিন দিন আগে।