গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকায় সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। অপরাধ প্রমাণিত হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
সোমবার (৯ জুন) সকালে যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এই কথা জানান উপদেষ্টা।
এরআগে, চিকিৎসা শেষে রোববার দিবাগত রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
ঢাকা বিমানবন্দর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও জানা গেছে, রাত দেড়টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
এরআগে, ৮ মে দিনগত রাত ৩টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে (টিজি ৩৪০) ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা
ছাড়েন আবদুল হামিদ। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একের পর এক ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের মুখে ১০ মে অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগের পতন হলে দলটির অনেক নেতাকর্মী দেশ ছাড়লেও আবদুল হামিদ দেশে অবস্থান করছিলেন। ৯ মাস পর চিকিৎসার জন্য ব্যাংককের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা থাকার তথ্য রয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। মামলাটিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ওবায়দুল কাদেরের নাম রয়েছে।
আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সময় ২০১৩ থেকে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।