বলিউড অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি গত তিন দশক ধরে নিজের দাপট ধরে রেখে চলেছেন। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেতা তার দীর্ঘ অভিনয়জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ ও অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
১৯৯৮ সালে পরিচালক রাম গোপাল ভার্মার ‘সত্য’ সিনেমাটি মনোজ বাজপেয়ির অভিনয়জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। কিন্তু সেই সাফল্যের আগেও তাকে বহুবার প্রত্যাখ্যানের শিকার হতে হয়েছিল। এমনকি ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় ভর্তির চেষ্টাতেও তিনি ব্যর্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। ছোট ছোট চরিত্র থেকে শুরু করে নিজের মেধা ও পরিশ্রমের জোরে এ অভিনেতা তার জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন।
বর্তমানে মনোজ বাজপেয়ি তার নতুন সিনেমা ‘জুগনুমা – দ্য ফেবল’-এর প্রচার নিয়ে ব্যস্ত আছেন। রাম রেড্ডি পরিচালিত সেই সিনেমায় তার সঙ্গে আরও অভিনয় করেছেন দীপক দব্রিয়াল, প্রিয়াংকা বসু, তিলোত্তমা সোম, হিরাল সিধু প্রমুখ।
তিন দশকের পথচলায় মনোজ বাজপেয়ি বলেন, তার স্ত্রী শাবানা নিজে অবাক হয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলেন—এ যেন একেবারেই অলৌকিক ব্যাপার! তুমি কীভাবে এখনো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আছ? কারণ তুমি তো বারবার তোমার আচরণে লোকজনকে রাগিয়ে দাও অথচ এখনো কীভাবে কাজ পেয়ে যাচ্ছ?
এ অভিনেতা বলেন, আমি কখনো বুঝতে পারিনি কীভাবে এত বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে আছি। হয়তো আমার জেদ, আমার ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতাই আমাকে এগিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ি বলিউড ছাড়াও তেলেগু ও তামিল সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র ও চারবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেছেন। শিল্পকলায় অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তিনি ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত হন।
বিহারের বেতিয়া শহরের নিকটবর্তী বেলওয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাজপেয়ি। শৈশব থেকেই অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে তিনি সতেরো বছর বয়সে দিল্লিতে পাড়ি জমান। সেখানে রাষ্ট্রীয় নাট্য বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন করেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি চারবার এই বিদ্যালয় থেকে প্রত্যাখ্যাত হন। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি মঞ্চে অভিনয় চালিয়ে যান।