বিয়ের পর মানুষের নতুন পথ চলা শুরু হয়। সম্পর্কের শুরুতে সঙ্গীর সম্পর্কে বলার মতো অনেক কিছুই পাবেন। অবশ্যই তখন ভালো ভালো কথায় মনে হবে। কারণ তখন নতুন প্রেম, ভালোলাগা, ভালোবাসা।
সঙ্গীর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি তখন লক্ষ্য করেছেন অকারণে এবং ভালোও লাগছে।
এই সম্পর্ক কয়েক বছর পার হলেই আগের সেই মিষ্টি মিষ্টি কথাগুলো থাকে না। বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটে। পথ চলতে গিয়ে হয়ত অনেক কিছু নিয়েই মতোবিরোধের সৃষ্টি হয়। দায়িত্ব বেড়ে যায়। আবার কিছু কিছু বিষয় খুব জটিল হয়ে যায়। মানসিক অবস্থাও ঠিক থাকে না। সময় অবস্থা সবই পরিবর্তন হয়। এটাই স্বাভাবিক। সবকিছু আগের মতো না থাকার কারণে, আপনার মনে হতে পারে আপনার সঙ্গী আপনার যত্ন করছে না বা ভালোবাসে না। মনে তৈরি হয় নেতিবাচক অনুভূতির।
নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ কী সম্পর্ককে আঘাত করতে পারে?
নেতিবাচক বিষয় মাথায় আসার কারণে মনে দূরত্ব বেড়ে যেতে পারে। মনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। ফলে একাকীত্ব, শক্তিহীনতার অনুভূতির সৃষ্টি হয়। অবশেষে একজন বা উভয়কেই একে অপরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। আমাকে ভালোবাসে না, আমাকে যত্ন করে না, বিয়ের আগে এমন ছিল না কতো প্রশ্ন! এই অনুভূতিগুলোই নেতিবাচক। তাই একে অপরের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি থাকলে তা আপনার বিবাহকে পুনরুজ্জীবিত করে। বিবাহিত জীবন সুখি হয়। তিন উপায়ে সম্পর্কে আগের সেই ভালোবাসা ধরে রাখুন।
১. একটা লাইন ‘আমি ভালোবাসি বা ভালো লাগে যখন….’
কথা শুরুর সময় এই লাইনটা দিয়ে শুরু করতে পারেন। যেমন আমারে খুব ভালো লাগে যেমন ‘আমার খুব ভালো লাগে যখন আমরা একসাথে বেড়াতে যাই’।
২. প্রশংসা
আপনার সঙ্গী যাই করুক সেটার প্রশংসা করতে ভুলবেন না। সারা দিনে অনেক ভালো ভালো কাজই করে। আপনি সেটা খেয়াল রাখুন কোন একটা ভালো কাজ করলেই প্রশংসা করতে ভুলবেন না। হতে পারে এক কাপ চা বানিয়ে অনলো বা খাবার রান্না করর । বাইরে ঘুরতে নিয়ে গেল। এখানে স্বামী স্ত্রী উভয়ই দুই জনের প্রশংসা করতে ভুলবেন না।
৩. গুনের প্রশংসা
কাজের সাথে তার গুনের প্রশংসাও করুন। যেমন তুমি খুব সাহসী। তুমি পাশে থাকলে ভরসা পাই বা আমি জানি তুমি পারবে ইত্যাদি।
সূত্র : ইউর ট্যাঙ্গো।