এ যেন সুকুমার রায়ের সেই হযবরল এর ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে এক শ্রমিকের সাথে। তিনি ছিলেন শ্রমিক, আর হয়ে গেলেন একদিনের কোটিপতি! ঘটনাটা তাহলে খুলেই বলা যাক চলুন।
উত্তরপ্রদেশে ঘটেছে এক অদ্ভুত ঘটনা। সেখানের ইঁট ভাটার এক শ্রমিক কয়েকঘন্টার জন্য কোটিপতি গিয়ে যান। এযেন উপেন্দ্রকিশোর রায়ের সেই টুনির ধন। তবে এতটাকার মালিক হয়ে মহাফাঁপরে পড়েন সেই পরিবারের সদস্যরা। আর লোকের মুখে সাথে সাথেই চারিদিকে চাউর হয় যায় এই অদ্ভুত ঘটনা।
কনৌজের ওই শ্রমিক নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি টাকা থাকার বিষয় পুরোপুরি অস্বীকার করলেও ব্যাংকের মিনি ব্রাঞ্চ থেকে বার হওয়া স্টেটমেন্টে বারবার তাকে হাজার কোটি টাকার হিসেব দেখানো হয়। ওই শ্রমিকের নাম ধনিরাম তিনি কনৌযের ছিবরামউ তহসিলের কমলপুর গ্রামের বাসিন্দা। কাজ করেন রাজস্থানে একটি ইট ভাটায়।
কিছুদিন আগে তিনি নিজের গ্রামে ফিরে আসেন আর সেখানেই মিনি ব্র্যাঞ্চ এ গিয়ে টাকা তুলতে যেতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় তার। উপস্থিত সবাই তার অ্যাকাউন্টের অর্থ দেখে চমকে যান। সেসময় ধনিরামের অ্যাকাউন্টে ছিল মোট ২,৭০০ কোটি টাকা! এরপর তিনি গ্রামে ফিরে সবাইকে জানতে থাকেন সেই ব্যাপারে।
এরপর মিনি ব্র্যাঞ্চ তাকে ব্যাংকে গিয়ে জানাতে বললেও তিনি ফিরে আসেন ভিড় দেখে। তবে সন্ধেবেলা আবার ব্যালেন্স চেক করতে গিয়ে দেখেন যে, সেখানে মাত্র ১২৬ টাকাই আর পড়ে আছে। ব্যাংকের তরফে জানা যাচ্ছে যে ৩১ জুলাই বিকেল ৫ টা ৪২ মিনিটে তার ওই অ্যাকাউন্টে ছিল ২৭০৭,৮৫,৮১,৩৮৯.২৩২৪ টাকা!
এমনকি ১লা আগস্ট সকাল ১১:৩৫ এর লাস্ট স্টেটমেন্টেও দেখা গিয়েছে যে, তার অ্যাকাউন্টে রয়েছে ৩১০৭,৪৯,৪৫৬২৫.২৩৮৪ টাকা। তবে এই ব্যাপারে যখন ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার LDM কে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি জানান যে পুরোটাই ভুল। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১২৬ টাকা পড়ে রয়েছে।