আরেকটু দেরি হলে কেলেঙ্কারি হয়ে যেত: মাহিয়া মাহি

কিছুদিন আগে ফেসবুকে এসে মাহিয়া মাহি খবর দিয়েছেন, তিনি মা হবেন। বর্তমানে তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এর মধ্যে হঠাৎ করেই রোববার ঢাকাই ছবির এই নায়িকার ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস ঘিরে কিছুক্ষণের জন্য ভিন্ন আলোচনা শুরু হয়। নেট-দুনিয়ায় চলতে থাকে গুঞ্জন।

রাত নয়টার দিকে তাঁর নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখা ছিল, ‘আমরা আর একসঙ্গে নেই’। মুহূর্তে স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হয়ে যায়। হঠাৎ মাহির এ ধরনের স্ট্যাটাসে ফেসবুকে তাঁর ভক্ত ও অনুসারীদের মধ্যে আলোচনার ঝড় ওঠে।

এর পরপরই গণমাধ্যমকর্মীরা মাহির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ফোন ধরছিলেন না মাহি। এতে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে আরও সন্দেহ বাড়ে সবার মধ্যে। তাহলে কি মাহি আর রকিব সরকারের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেল?

যখন সবাই তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছেন, ঠিক আধা ঘণ্টার মাথায় স্ট্যাটাসটি উধাও। এরপর মাহির একই আইডিতে লেখা হয়, ‘কিছুক্ষণ আগে আমি ছাড়াও আমার প্রোফাইল কে যেন লগইন করেছিল। জানি না কাকে কাকে টেক্সটও পাঠিয়েছে। কী ভয়ানক!’

এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে মাহি তাঁর অবস্থান পরিষ্কার করেন, ‘ফেসবুক এমন একটি জিনিস, যেকোনো সময় হ্যাক হতে পারে বা পাসওয়ার্ড জেনে যে কেউই লগইন করতে পারে। আমার ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে।

তবে আমি কিছু সময়ের মধ্যে তা টের পেয়ে স্ট্যাটাসটি ডিলিট করেছি। আরেকটু দেরি হলে কেলেঙ্কারি হয়ে যেত। সবার ভুল ভাঙতে নতুন একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে আমার আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেছি। বলতে পারেন, এটি একটি দুর্ঘটনামাত্র।’

তবে কীভাবে বিষয়টি ঘটেছে, সেটি এখনো বের করতে পারেননি মাহি। যে ছেলেটি মাহির ফেসবুক পেজ ও আইডি দেখভাল করতেন, তাঁকেই সন্দেহ করছেন তিনি। মাহি বলেন, ‘এর আগে একটি ছেলে আমার পেজ ও আইডি দেখতেন।

বছরখানেক আগে ছেলেটির কাছ থেকে পেজ ও আইডি নিয়ে নিই। তবে আমার কাছে মনে হয়, ছেলেটির কাছে আমার আইডি লগইন ছিল। এ ঘটনার পর আমি ও রকিব দুজনই ছেলেটিকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।’

কখন বিষয়টি জানতে পারেন, জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘যে সময় ঘটনাটি ঘটে, সে সময় আমি ও রকিবের বোন দুজন থেরাপি নিতে হাসপাতালে ছিলাম। ওদিকে রকিব তার রাজনৈতিক কাজে বাইরে ছিল। কাজ শেষ করে ফোন হাতে নিয়ে দেখি, অসংখ্য মানুষের মিসডকল।

তার মধ্যে রকিবেরও অনেক মিসডকল। আমি ভাবলাম কী না কী হয়ে গেছে। রকিবকে ফিরতি ফোন দিতেই ঘটনাটি জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুকে ঢুকে স্ট্যাটাসটি ডিলিট করি। এরপর একজনকে দিয়ে আইডির পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করি।’

এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কিছুটা বিব্রত মাহি বলেন, ‘স্ট্যাটাস দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কিছু কিছু অনলাইন পোর্টালে নিউজ হয়ে গেছে। সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি চেক না করে, আমার সঙ্গে কথা না বলে স্ট্যাটাস ধরেই নিউজ করে দিয়েছেন।

আমি তো কাজে ছিলাম। তাঁদের অনেকের ফোন ধরতে পারিনি। আরেকটু অপেক্ষা করলে কী হতো? এমন একটি সেনসিটিভ ঘটনা, এটি পরিবার-পরিজনের ওপর প্রভাব ফেলে। কিছুটা ফেলেছেও। তবে আধা ঘণ্টার মধ্যেই টের পেরেছিলাম বলে বেঁচে গেছি।’

গত শুক্রবার মাহিয়া মাহি অভিনীত ‘যাও পাখি বলো তারে’ ছবিটি দেশের ২১টি মুক্তি পেয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকার শহরের বাইরে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের দুটি সিনেমা হলে ছবিটির প্রচার চালিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে মাহি বলেন, ‘ছবিটির রিভিউ খুব ভালো।

শুনেছি, ঢাকার মধ্যে মাল্টিপ্লেক্সে মোটামুটি ভালো যাচ্ছে। ঢাকার বাইরে যে দুটি হলে আমি গিয়েছিলাম, দর্শক মোটামুটি ভালো ছিল।’ মোস্তাফিজুর রহমান পরিচালিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন আদর আজাদ, শিপন মিত্র, মামুন অপু প্রমুখ।