কোরবানির ঈদে সবারই ইচ্ছা করে বেশি করে মাংস খেতে। খাবারের তালিকায় থাকে বিভিন্ন রকমের মাংসের পদ। কিন্তু অনেকেই একসঙ্গে প্রচুর পরিমাণ তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে হজম করতে পারেন না।
অতিরিক্ত মাংস, কলিজা, ভূড়ি, মগজ খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়া করা, পেট ব্যথা, বারবার পায়খানা হতে পারে। মাংস, তেল, চর্বি বেশি খাওয়া হলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভুগতে পারেন।
পেটের এসব সমস্যা এড়াতে দুপুর ও রাত্রে অবশ্যই খাবারের তালিকায় সবজির একটি পদ রাখবেন। আর সব খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পানি বা অন্যান্য পানীয় পান করতে ভুলবেন না। খাবার সময় অবশ্যই পরিমিতি বোধ বজায় রাখতে হবে। একবারে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান।
কোরবানির মাংসের সঙ্গে দুধ-জাতীয় খাবার, যেমন ফিরনি, পায়েস ইত্যাদি না খাওয়াই ভালো। এতে অতিরিক্ত গ্যাস হতে পারে। তা ছাড়া অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়ে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। খেতে হলে আলাদা কোনো সময় খেতে হবে, একই বেলায় খাওয়া ঠিক হবে না। তবে টক দই অনেক সময় হজমে সহায়তা করে।
যাদের নানা রকম অসুস্থতা আছে, তাদের এ সময় খাবারের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। খেয়েই শুয়ে পড়বেন না বা দিবানিদ্রা দিতে যাবেন না। রান্নার সময় চেষ্টা করুন অতিরিক্ত তেল-মসলা ব্যবহার না করতে। একসঙ্গে অনেক বেশি রান্না করে রাখলে পরেরদিন ভালোমতো গরম করে তারপর খেতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে পর্যাপ্ত পানি পান করার পাশাপাশি আঁশযুক্ত শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। এছাড়া পুদিনা বা আদার চা পান করতে পারেন। পুদিনা বা আদার চা খাবার হজমে সহায়তা করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সহায়তা করে।
বাজারে নানা ধরনের সিরাপ, জোলাপ ইত্যাদি পাওয়া যায়। কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। কারণ ওষুধের মাধ্যমে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গিয়ে উল্টো ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে এবং পানি ও লবণের ঘাটতি হয়ে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। পেটের সমস্যা প্রকট হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।