‘ঈদুল আজহায় আনন্দটা একটু বেশি থাকে। কিন্তু এবারের ঈদুল আজহাটা অন্যভাবে কাটবে। কারণ ঈদের দিন আমি না থাকব দেশে, না থাকব বিদেশে, আমাকে থাকতে হবে আকাশে।’— আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলেন ‘নয়া দামান’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী তসিবা বেগম।
ঈদের দিন আকাশে থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তসিবা বলেন, ‘২৮ জুন কানাডার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ব। কানাডায় পৌঁছাতে দুই দিন বা আড়াই দিন লাগবে। স্বাভাবিক কারণে ঈদুল আজহার দিন আমাকে আকাশে থাকতে হবে। সুতরাং এবার দেশের ঈদও পাব না, বিদেশের ঈদও পাব না।’
‘আমরা পরিবারের সবাই একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করে থাকি। যদিও এবার তার ব্যাত্যয় ঘটছে। ঈদ আসলেই ছোটবেলার অনেক কিছু মনে পড়ে যায়। ওই সময়ের অনেক স্মৃতি মাথায় ঘুরে বেড়ায়। সাধারণত মুসল্লিরা ঈদুল আজহার নামাজ সকাল সকাল পড়ে ফেলেন। কারণ নামাজ শেষ করে কোরবানির পর্ব থাকে।’ বলেন তসিবা।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করে তসিবা বেগম বলেন, ‘আমার বয়স তখন অনেক কম। সম্ভবত ১০ কিংবা ১২ বছর। আব্বা নামাজ শেষ করে কোরবানির গরু নিয়ে যাবেন। ওদিকে হুজুর চলে আসছেন। কিন্তু আমি গরুর গলা ধরে বসে আছি। কোনো মতেই গরুর গলা ছাড়ছি না। কারণ আমি ওই গরু কোরবানি দিতে দেব না। কোরবানি দিলে তো গরু মরে যাবে। এ নিয়ে তো কান্নাকাটি অবস্থা। একটি পশু বাড়িতে থাকলে সেটার প্রতি মায়া জমে যায়, মায়া ভরা চোখে তাকিয়ে থাকে। যাইহোক, এটা নিয়ে আমার অনেক মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু কিছু তো করার নেই।’
ঈদুল আজহায় রান্না করে থাকেন তসিবা। তা জানিয়ে এই শিল্পী বলেন, ‘কোরবানির ঈদে গরুর মাংস নিয়ে নানা পদের রান্না হয়ে থাকে। আমি গরুর ভুঁড়ি খুব পছন্দ করি। কোরবানির সময়ে ভুঁড়ি যাতে ঠিকঠাকমতো বাড়িতে নিয়ে আসেন, সেটা আম্মাকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেই। তা ছাড়া গরুর পায়াও আমার খুব পছন্দ। প্রতি ঈদে কিছু না কিছু রান্না করি। গরুর কালা ভুনা রান্না করতে পছন্দ করি। আর গরুর মাংসের সঙ্গে চালের রুটি অবধারিত, খাবারের তালিকায় এটা মাস্ট থাকবেই। কিন্তু এবার কোনো কিছুই রান্না করতে পারব না।’
আগামী ৩০ জুন কানাডার টরেন্টোতে পৌঁছাবেন তসিবা বেগম। কনসার্টে অংশ নিতেই তার কানাডা সফর। তসিবা ছাড়াও কানাডায় কনসার্টে অংশ নেবেন প্রীতম ও বেবি নাজনীন। প্রীতম বসবাস করেন যুক্তরাজ্যে আর বেবি নাজনীন থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে তারা কানাডায় উড়ে যাবেন। ১০-১২ দিন পর কানাডা থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন তসিবা।