বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল তাদের ছেলে হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। অবশেষে হেলিকপ্টারে করে বাড়ি ফিরে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করলেন সৌদি প্রবাসী একমাত্র ছেলে মো. হাসান আলী।
হাসান আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের মো. তৈয়ব আলী ও মনোয়ারা বেগম দম্পতির একমাত্র ছেলে।
হাসান আলী একা নন সৌদি থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর রাজধানী ঢাকা থেকে বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে সরাইলের ইসলামাবাদ গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন তিনি। হেলিকপ্টারে গ্রামের বাড়ি পৌঁছার পর তাকে তার ছোট বোনের স্বামী সাইদুলের নেতৃত্বে ফুল দিয়ে বরণ করেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের বালুর মাঠে অবতরণ করে। এমন দৃশ্য দেখে দারুণ খুশি তাদের স্বজন ও গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, জীবিকার তাগিদে গত ২০ বছর ধরে সৌদি আরবে বসবাস করেন হাসান আলী। তার আয়ে সচ্ছল এখন পুরো পরিবার। শুধু তাই নয়, তার সহায়তায় উপকৃত হয়েছেন নিকট আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার মানুষ। হাসান খুবই ভালো মানুষ। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে থাকেন।
তার বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল একমাত্র ছেলে হাসান আলী হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরবেন। অবশেষে ছেলে পূরণ করল তাদের সেই আশা। হেলিকপ্টারে করে তার বাবা-মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন।
এদিকে তারা ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে বাড়ি ফিরবেন এমন খবরে সহস্রাধিক মানুষ ইসলামাবাদ বালুর মাঠে ভিড় জমান। গ্রামের মানুষ কখনো হেলিকপ্টার কিভাবে মাটি ছোঁয় তা দেখেননি। হেলিকপ্টার কখনো এত কাছ থেকেও দেখিনি। প্রচণ্ড বাতাসে চারদিকে যেন ভূমিকম্প। সে এক অন্যরকম অনুভূতি পেয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে হাসান আলী জানান, বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছেন এটাই তার কাছে বড় পাওয়া। গ্রামের মানুষ হেলিকপ্টার দেখেছেন। তাতেই ভালো লাগছে। সঙ্গে বাবা মা খুশি, এলাকার মানুষ খুশি এবং তিনিও খুশি।