পৃথিবীতে ৩ টি পুরস্কার নিয়ে আসে কন্যা সন্তান

কন্যাসন্তান আল্লাহর শ্রেষ্ঠ উপহার। তারা মা-বাবার জন্য জান্নাতের দাওয়াতনামা নিয়ে দুনিয়ায় আসে। তাইতো পবিত্র কোরআনে কন্যাসন্তানের সংবাদকে ‘সুসংবাদ’ বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তাদের কাউকে যখন কন্যাসন্তানের সুসংবাদ দেওয়া হয়, তখন তার মুখমণ্ডল কালো হয়ে যায় এবং সে অসহনীয় মনোস্তাপে ক্লিষ্ট হয়। তাকে যে সুসংবাদ দেওয়া হয়, তার গ্লানি হেতু সে নিজ সম্প্রদায় হতে আত্মগোপন করে; সে চিন্তা করে যে হীনতা সত্ত্বেও সে তাকে রেখে দেবে, না মাটিতে পুঁতে দেবে। লক্ষ করো, সে কত নিকৃষ্ট সিদ্ধান্ত স্থির করেছিল।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৫৮-৫৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) কন্যাসন্তান লালন-পালনকারীর জন্য তিনটি পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন—এক. জাহান্নাম থেকে মুক্তি, দুই. জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা এবং তিন. জান্নাতে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য। আরও পড়ুন : ফুটফুটে ২ সন্তান ও স্ত্রীকে বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালালেন স্বামী, রাস্তায় বসে কাঁদছেন স্ত্রী

তী’ব্র শীতের মধ্যে বাসস্ট্যান্ডে বসে আছেন মধ্যবয়সী এক নারী। তার কোলে ছয় মাসের শিশু। পাশেই হাত দিয়ে ধরে রেখেছেন চার বছর বয়সী আরেক সন্তানকে। একই সঙ্গে মোবাইলে কা’ন্না করে কাউকে বলেছেন, ‘আমাকে নিয়ে যান, আপনি কোথায় গেলেন, আমি আপনার কাছে কিছুই চাই না, শুধু সংসার করতে চাই।’

জানা গেছে, বিয়ে হওয়ার ১০ বছর পর প্রথমবারের মতো শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসস্ট্যান্ডে ওই নারীকে সন্তানসহ রেখে লা’পা’ত্তা হয়েছেন স্বামী। বারবার ফোন দিলেও তার পক্ষে আর সংসার করা সম্ভব নয় বলে ফোন কে’টে দেন। আজ শুক্রবার সকালে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল উপজেলা সদরের পুরনো বাসস্ট্যান্ডে।

বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করা যাত্রীবাহী বাসের টিকিট মাস্টার মো. মুন্না মিয়া জানান, খুব ভোরে ওই নারী দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসেন। পরে দেখা যায়, ওই নারী মোবাইল ফোনে কার সঙ্গে যেন উচ্চৈঃস্বরে কা’ন্না করে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আ’কু’তি জানান। ওই নারী বলেন, তার নাম ঋতু পর্ণা (২২)। তিনি জামালপুর জেলার সদর উপজেলার লাহিড়িকান্দা নামক স্থানের সামছুল হকের মেয়ে। তিনি ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করতেন।

সেখানেই পরিচয়ের সূত্র ধরে ১০ বছর আগে বিয়ে হয় মোশারফ হোসেন (২৫) নামে এক ব্য’ক্তির সঙ্গে। কয়েক বছর ঢাকায় থাকার পর বাবার বাড়িতে চলে আসেন। স্বামী মোশারফও মাঝেমধ্যে আসতেন। তাদের সংসারে নিরব ও রূপা নামে দুটি সন্তান রয়েছে। নিরবের বয়স ছয় মাস এবং রূপার চার মাস। সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকেই ভর’ণপো’ষণ দিতে অ’নী’হা দেখায় স্বামী। একপর্যায়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে চাইলে বিভিন্ন টা’লবা’হানা’য় এ’ড়িয়ে যায়।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দুই সন্তানের অ’সুস্থ’তার কথা বলে টাকা দাবি করলে স্বামী মোশারফ দিতে অ’স্বীকার করেন। পরে সন্তানসহ নিজে ‘সু”ই’সা”ই’ডের হু’ম”কি দিলে তাকে ফোনে জানায় নান্দাইলে আসার জন্য। তার কথামতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নান্দাইল সদরে এসে তাকে খোঁ’জ করে পাওয়া যায়নি।

তার সঙ্গে থাকা স্বামীর একটি জন্ম নিবন্ধনের ঠিকানা ধরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের লংগারপার গ্রামে গিয়ে স্বামীর স”ন্ধা’ন পান। রাতযাপনের পর তাকে শুক্রবার ভোরে নিয়ে আসে নান্দাইল বাসস্ট্যান্ডে। এরপর আসছি বলে একটি বাসে উঠে চলে যায় মোশারফ। বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও স্বামীর খোঁজ পাননি ওই নারী। ফোনে বারবার চেষ্টা করে একবার সং’যো’গ পেলে স্বামী জানায়, ‘তার পক্ষে সংসার করা সম্ভব না।’ পরে সকাল ১০টার দিকে ওই নারী বাবার বাড়িতে রওনা দেন।