ধানক্ষেত থেকে ড্রেনে চলে আসলো বিশালাকার মাছ, দারুন কায়দায় ধরলো যুবক

বর্তমান যুগ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে প্রত্যেকেই চাই নিজেকে অন্যের সামনে আকর্ষণীয় করে তুলতে।যার কারণে সকলেই তার সুপ্ত প্রতিভার চর্চা করে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা প্রতিনিয়ত আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়ে থাকি।তেমনি বর্তমান সময়ে আলোচনা বিষয় এক যুবক।

যে কিনা এক ভিন্ন পন্থায় মাছ শিকার করে এখন আলোচনার শীর্ষে আমাদেরকে বলা হয় মাছে ভাতে বাঙালি। কারণ মাছ আমাদের খাবারের প্রতিনিয়ত সঙ্গী। সেই প্রাচীন কাল থেকে এই দেশের মানুষ মাছ খেয়ে আসছে। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। তাই আমাদের দেশের নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।মাছ হলো আমিষের অন্যতম উৎস। মাছ থেকে পাওয়া যায় উৎকৃষ্ট আমিষ।

এছাড়া ভিটামিন বি ১২, সিস্টিন সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মাছের মধ্যে বিদ্যমান। আমাদের দেশে কখনো আমিষের অভাব হয় না মাছের জন্য। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মাছ খেতে দারুণ পছন্দ করে। বর্তমানে আমাদের দেশে জনসংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বাড়তি জনসংখ্যার জন্য প্রয়োজন অতিরিক্ত খাদ্য। যার জন্য প্রতিনিয়ত মাছের উপর মানুষের চাহিদা বেড়েই চলেছে।

আমাদের দেশে বিভিন্ন উপায়ে মাছ শিকার করা হয়। কখনো জালের মাধ্যমে কখনো বা বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরা হয়ে থাকে। মাছ ধরা অত্যন্ত ধৈর্যের কাজ। যা সবাই পারে না। অনেকেই সারা রাত নদীর কূলে বসে মাছ ধরে থাকে ।তারা সাধারণত বঁড়শি দিয়ে মাছ ধরে থাকে।এটাই তাদের কাছে আনন্দ। মাছ ধরা অনেকটা ভালোবাসার বিষয়। বর্ষার মৌসুমে নদীগুলোতে প্রচুর মাছ পাওয়া যায়।

তাই এই সময়ে নদীর কূলে মানুষের ভীড় লেগেই থাকে। আমাদের দেশে অনেক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে মাছ বিক্রি করে। মাছ তাদের বেঁচে থাকার প্রধান অবলম্বন। তারা নদী,পুকুর, সাগর থেকে মাছ ধরে সেই মাছ বাজারে বিক্রি করে এবং সেই অর্থ ব্যয় করে নিজেদের সংসার পরিচালনা করে থাকে।

জেলে সম্প্রদায় সাধারণত জালের মাধ্যমে মাছ শিকার করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা আমরা এমন এক অন্য ধরনের মাছ শিকার করা সম্পর্কে জানতে পেরেছি যা সত্যি অবাক করার মতো। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যায় যে এক যুবক পুরোপুরি এক ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে মাছ শিকার করছে।

সে কাঠ দিয়ে একটি ধনুক তৈরি করে সেই ধনুক দ্বারা মাছ শিকার করছে এবং সেই ধনুকে সে তীর হিসেবে এক ধারালে এবং বিপদজনক ছুঁচালো কিছু ব্যবহার করছে। যা দিয়ে অতি সহজেই বিশাল আকারের মাছ ধরা সম্ভব। এমন উপায়ে মাছ ধরা দেখে প্রায় সকলেই হতবাক। সত্যি বলতে এই যুবকের মাছ ধরার পন্থা প্রশংসার দাবিদার।