ডেয়ারিং লাভার’ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে একটি দৃশ্যে ‘শিশুশিল্পী’ হিসেবে অভিনয় করেছিলেন পূজা চেরী। সেই পূজা এখন শাকিবের ‘গলুই’ সিনেমার নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। ১০ দিন একসঙ্গে শুটিং করে ১০ বছর আগের শাকিব আর এখনকার শাকিবের ‘আকাশ পাতাল পার্থক্য’ চোখে পড়েছে পূজার। বললেন, ‘শাকিব ভাইয়া দিন দিন আরও ইয়াং হচ্ছেন।’ ‘নূর জাহান’, ‘দহন’ – এর মতো সিনেমা দিয়ে আলোচনায় আসা পূজা বলেন, ‘শাকিব ভাইয়ের মধ্যে
বিশাল পরিবর্তন হয়েছে। উনি আগে একরকম ছিলেন, এখন আরেক রকম। কাছ থেকে দেখেছি, উনি সময়ের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলতে পারেন। একসঙ্গে কাজ না করলে বুঝতাম না উনি নিজেকে কত চমৎকারভাবে মেইনটেইন করেন। একজন প্রকৃত শিল্পীর জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’
রবিবার দুপুরে পূজা চেরী বলেন, পহেলা অক্টোবর প্রথম শাকিব ভাইয়ার সঙ্গে শুটিং করি। মালা চরিত্রের মধ্যে ঢুকেছিলাম বলে ব্যক্তি পূজার কেমন অনুভব হচ্ছিল মাথায় রাখিনি। নিজেকে মালা হিসেবে উপস্থাপন করি। তবে আমাদের শুটিংয়ে এতো এতো মানুষের ভিড় ছিল বোঝাতে পারবো। লক্ষাধিক মানুষ দূরদূরান্ত থেকে শাকিব ভাইয়াকে দেখতে এসেছেন। ‘সুপারস্টার’ তো এমনই হওয়া উচিত। রোদে পুড়ে নদী পার হয়ে আশপাশের জেলা থেকেও মানুষ এসে তার জন্য।’
দেশের চিত্রজগতের ‘মহাতারকা’ বলা হয় শাকিবকে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে তার তারকাখ্যাতি উজ্জ্বল। তবে সহশিল্পী শাকিব খানকে ‘বেস্ট’ উল্লেখ করে পূজা বলেন, ‘উনি বেস্ট। তার সঙ্গে কারো তুলনা চলে না। উনি আমাদের সিনেমার সুপারস্টার হলেও সহশিল্পী হিসেবে তিনি ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। এতো ভালো মন মানসিকতা, সুন্দর ব্যবহার সত্যি বলে বোঝাতে পারবো না। উনি যে সুপারস্টার এটা কখনই বুঝতে দেন না। গল্প আড্ডায় সহজভাবে মিশে যান। সবমিলিয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছি।’
সরকারী অনুদান পেলেও বড় আয়োজনে ‘গলুই’ প্রযোজনা করছেন খোরশেদ আলম খসরু। শাকিব-পূজা ছাড়াও অভিনয় করছেন আজিজুল হাকিম, সৌম চৌধুরী, আলী রাজ প্রমুখ। সিনেমাটিতে শাকিব খান ঢুলি ও মাঝির চরিত্রে অভিনয় করছেন। পরিচালনা করছেন রোমান্টি সিনেমার জনপ্রিয় নির্মাতা এস এ হক অলিক। তার নির্দেশনায় প্রথম অভিনয় করছেন পূজা।
পূজা চেরী বলেন, ‘পোড়ামন ২’র পরিচালক রায়হান রাফী ভাইয়ের সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটা দারুণ। আমি যেভাবে অভিনয় করবো ভাবি বা উনি যেভাবে চান। আমাদের মানসিকতা একই। তারপর অন্যদের সঙ্গে একাধিক সিনেমা করেছি। এতোদিন পর অলিক ভাইয়ের মধ্যেও এই জিনিসটা পেয়েছি। আমি যেটা ভাবছি বা অলিক ভাই স্ক্রিনে যেটা চাইছেন আমাদের চাওয়াটা একই থাকছে। কিছুকাজ থাকে যা মনে যেমন চায় তেমনভাবে হয়। ‘গলুই’ তেমনই হচ্ছে। মনের তৃপ্তি পাচ্ছি বলে শান্তি লাগছে।
পূজার সঙ্গে যখন মুঠোফোনে আলাপ হচ্ছিল তখন তিনি জামালপুরে থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। জানাচ্ছিলেন, ১০ দিন শুটিং করে ঢাকায় ফিরছেন। শারদীয় দুর্গা পূজার কারণে ছুটি নিয়ে ঢাকায় আসছেন। প্রতিমা বিসর্জন হলেই আবার শুটিংয়ে ফিরবেন।
পূজা বলেন, যতই হোক নিজের ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব। সে কারণে মিস করতে চাইনি। এজন্য ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসেছি। এবছর আমাদের ঘরে নতুন বৌ এসেছে। পরিবার নিয়ে পূজার কটা দিন একটু রিল্যাক্স করবো। কাছের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করবো। ঢাকেশ্বরীসহ ঢাকার একাধিক মণ্ডপে ঘুরবো। তবে শুটিংয়ে থাকায় এবার আর মনমত শপিং করতে পারিনি।