মৎস্যজীবীদের জালে উঠল কই ভোলা। বিশালাকার এই মাছকে নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেল দিঘার বাজারে। জালে ওঠা কই ভোলা মাছটির ওজন ১১০ কিলোগ্রাম। হ্যাঁ, বিশাল এই মাছ বাজারে আসতেই মানুষের মধ্যে হইচই শুরু হয়ে যায়।
দিঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের জালে উঠল এই বিশালাকার কই ভোলা মাছ। এই মাছটির ওজন প্রায় ১১০ কেজি। দৈত্যাকার এই মাছের বাজারে যথেষ্ঠ চাহিদা রয়েছে। দামও যথেষ্ট বেশি। দিঘার বাজারে এই কই ভোলাটির দাম নির্ধারিত হয়েছে। দাম শুনলে চোখ কপালে তুলতেই হয়। সচরাচর এই মাছ দেখতে পাওয়া যায় না। মৎস্যজীবীদের জালেও খুবই কম ওঠে এই মাছ।
জানা গিয়েছে, কই ভোলা,তেলিয়া ভোলা বড় গোত্রের মাছ। অত্যন্ত গভীর সমুদ্রে এই মাছের উপস্থিতি। ঝাঁক বেঁধে এই মাছ থাকে। কখনও দলছুট হয়েও ঘুরে বেড়ায়। অগভীর সমুদ্রে এসে পড়লে এই মাছ জালে জড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। দীর্ঘ কয়েক দশকে এই প্রথমবার এত বড় কই ভোলা দিঘা মোহনায় এল বলে খবর। সকাল থেকে বিশাল আকৃতির এই মাছ দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। পারাদ্বীপ সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে থেকে মাছটিকে ধরা হয়েছে। ট্রলার ফিরছিল।
সেইসময় এই মাছ জালে আটকায়। কই ভোলা জালে জড়িয়েছে দেখেই উৎসাহী হন মৎস্যজীবীরা। কারণ, এই মাছ বাজারে অনেকটাই চড়া দামে বিক্রি হয়। দিঘা শঙ্করপুর ফিস ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের BCC আড়তে তোলা হয়েছে মাছটিকে।
মাছটির রেটিং শুরু হয়েছে ওই আড়তে। এই একটি মাছের মূল্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা। এই মাছ সাধারণত খাওয়ার জন্য নেওয়া হয় না। রেটিং প্রক্রিয়াকরণ সম্পন্ন হলে মাছটিকে বিদেশি রফতানি করা হয়। এই মাছের শরীরের তেল অত্যন্ত কার্যকর। ইতিমধ্যে মাছটিকে সংরক্ষণের প্রক্রিয়াকরণ শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবী মহলে এটা অত্যন্ত খুশির খবর। এই মাছ জালে জড়ানো মানে৷ আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই লাভবান হন মৎস্যজীবীরা।