ঢাকাই সিনেমার অভিনেতা কাজী মারুফ দীর্ঘদিন ধরেই সিনেমার বাহিরে আছেন। বর্তমানে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমেরিকার নিউইয়র্কে বসবাস করছেন। বুধবার মারুফ জানালেন, এখন নিউ ইয়র্কে তাঁর মালিকানাধীন চারটি বাড়ি আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাড়িগুলোর ছবিও প্রকাশ করেন।
ক্যাপশনে লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ চারটি বাড়ি নিউ ইয়র্কে। বিশেষ দ্রষ্টব্য : বাংলাদেশের টাকায় বাড়ি কিনিনি। এখানে কষ্ট করে বাড়ি কিনেছি। আমি সব সময় দেশে রেমিট্যান্স পাঠাই। দেশে কিছুই নেই আমার যে দেশ থেকে টাকা নিয়ে আসব। ’
মারুফ জানালেন, দেশের প্রতি তাঁর টান এখনো সমান। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমারও বাংলাদেশে থাকতে ইচ্ছা করে। মাথার ওপর দিয়ে বিমান উড়ে যেতে দেখলে দেশে ফিরতে মন চায়। কিন্তু পারি না। এই কিন্তুর বেশ কিছু কারণ আছে। আজ বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে এসে আমার বন্ধু ও ভক্তদের সঙ্গে কারণগুলো জানাব। তারা আমার কষ্টটা বুঝবে। দেশের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার রেখে, মা-বাবাকে রেখে কেন দূর পরবাসে, তার নিশ্চয়ই কারণ আছে। ’
ঢাকাই ছবির প্রখ্যাত পরিচালক ও অভিনেতা কাজী হায়াতের ছেলে কাজী মারুফ এখন আর সিনেমায় কাজ করেন না। স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন সুদূর আমেরিকায়। অভিনয় যার রক্তে তিনি কেন দেশ ছেড়ে মার্কিন মুলুকে প্রবাসী হলেন? কেমন চলছে তার প্রবাসী জীবন?
কাজী মারুফ অকপটেই জানালেন, রুটি-রুজির তাগিদে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। আর সবার মতো এখানে কাজ করে জীবন নির্বাহ করছেন। প্রসঙ্গত ২০০২ সালে বাবা কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘ইতিহাস’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক ঘটে মারুফের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন। সিনেমাটি ব্যবসা সফল হয়, সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান মারুফ। এর পর প্রায় ৩৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
‘দেহরক্ষী সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করে প্রশংসা পান। তবে ‘ইভটিজিং সিনেমায় তার কাশেম চরিত্রটি বেশি দর্শকপ্রিয়তা পায়।