ভারতের আলোচিত টিভি অভিনেত্রী উরফি জাভেদ। খোলামেলা পোশাক পরে নিয়মিত আলোচনায় থাকেন তিনি। কখনো কখনো উদ্ভট কর্মকাণ্ড করে, কখনো বা উদ্ভট পোশাক পরে সমালোচনার জন্ম দেন। এবার উরফি স্বীকার করলেন— অর্থের জন্য যৌ*তাকে পুঁজি করেছেন তিনি।
ইন্ডিয়া টুডে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন উরফি। মুম্বাইতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উরফি জাভেদ বলেন, ‘আমি কখনো পুরুষকে দোষারোপ করি না। বলি না, তাদের দৃষ্টি খারাপ। তারপরও সবসময় আমাকেই দোষ দেওয়া হয়। স্বীকার করছি, আমি যৌ*তাকে পুঁজি করেছি। কিন্তু এটা নতুন কিছু না। সিনেমা এবং পরিচালকরা এ কাজটি যুগের পর যুগ ধরে করছেন।’
ব্যাখ্যা করে উরফি জাভেদ বলেন, ‘বিষয়টি হলো, সিনেমায় যৌ*তাকে ব্যবহার করে পরিচালক-প্রযোজকরা টাকা আয় করছেন। আমি আমার যৌ*তাকে ব্যবহার করে অর্থ আয় করতে চেয়েছি।’
১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান উরফি। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মুম্বাই এসে ৭ বছর সংগ্রাম করেছি। ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি। আমি আগে থেকেই পোশাকের ব্যাপারে সাহসী ছিলাম। কিন্তু আমার বাবা খুব রক্ষণশীল; যার জন্য বাবা আমাকে মারধর করতেন। ওই সময়ে আমার কাছে দুটো অপশন ছিল। এক. আত্মহত্যা করা। দুই. নিজের মতো দুনিয়া গড়তে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া। পরে আমি দ্বিতীয় পথ বেছে নিই।’
অজ্ঞান না হওয়া পর্যন্ত উরফিকে তার বাবা মারধর করতেন। এসব তথ্য উল্লেখ করে অন্য একটি সাক্ষাৎকারে উরফি বলেছিলেন, ‘‘আমি কিছু লোকজনের ‘শিকার’ হয়েছিলাম। আত্মীয়-স্বজনরা এমন করলে মানা যায়। কিন্তু নিজের বাবা এমন করলে মেনে নেওয়া সহজ না। দুই বছর অনেক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, লোকজন খারাপ শব্দে আমায় ডাকত। যতক্ষণ অজ্ঞান না হই ততক্ষণ বাবা মারতেন।’
পরবর্তীতে উরফির বাবা তাদের ছেড়ে অন্য একটা বিয়ে করলে জীবনে শান্তি ফিরে বলেও জানান এই অভিনেত্রী।
‘বড়ে ভাইয়া কি দুলহানিয়া’ টিভি ধারাবাহিকে অবনি চরিত্রে অভিনয় করে বিশেষ খ্যাতি পেয়েছেন উরফি জাভেদ। পাশাপাশি ‘মেরি দুর্গা’, ‘বেপানাহ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পাঞ্চ বিট’ ওয়েব সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে দেখা গেছে তাকে।