পৃথিবীতে এমন অনেক অনেক এয়ারপোর্ট আছে যা সমুদ্রতীরবর্তী সংলগ্ন ।সমুদ্র তীরে থেকে সেই এয়ারপোর্টে প্লেন “টেক অফ” ও “ল্যান্ডিং” দেখা যায়। এমন অনেক অনেক এয়ারপোর্ট আছে যেখান থেকে টেক অফ করলে এবং ল্যান্ডিং করলে সমুদ্রের বিচে থাকা লোকজন তা দেখতে পায়। সমুদ্রতীরের অনেকটা কাছাকাছি দিয়ে সেই এয়ারপোর্টের প্লেন গুলো চলাচল করে থাকে।
এয়ারপোর্ট সে এরোপ্লেন গুলো উড়তে দেখলে সমুদ্রতীরে থাকা সকল পর্যটক মেতে উঠি উল্লাসে । তারা এই দৃশ্য কে অনেক সময় ক্যামেরা বন্দী করে রেখে দেয়। তখন তাদের মাথার উপরের অনেকটা কাছাকাছি দিয়ে প্লেন “ল্যান্ডিং” বা “টেক অফ” করে তখন সেখানে থাকা উৎসুক দর্শনার্থীরা আনন্দে ফেটে পড়ে । তারা এমন দৃশ্য কে একটি বিরল দৃশ্য হিসেবে আখ্যায়িত করে।
অনেকেই এই বিরল দৃশ্য দেখার জন্য সেই এয়ারপোর্ট সংলগ্ন সমুদ্র তীরে ঘুরতে আসে। তাদের ভাগ্যবান তারাই দেখতে পারে এমন বিরল দৃশ্য ।সেখানে প্রায় সকল পর্যটকই আসে এরকম একটি ঘটনার সাক্ষী হতে। এমন একটি সমুদ্র সৈকত হচ্ছে “মহা সমুদ্র সৈকত”। এই সমুদ্র সৈকত থেকে সরাসরি এরোপ্লেন উড়তে ও নামতে দেখা যায়। সেই এয়ারপোর্ট এরোপ্লেন গুলো যখন পুড়ে যায় তখন ঠিক সে সমুদ্র থেকে সমুদ্র সৈকতে থাকা লোকজনের মাথার কিছুটা ওপর দিয়ে উড়ে যায়।
আবার যখন এরোপ্লেন গুলো এয়ারপোর্টে নামতে যাবে ঠিক তখন সে সমুদ্রের সৈকতে থাকা মানুষের মাথার কয়েক ফুট উঁচু দিয়ে নেমে যাবে। এরোপ্লেন গুলো যখন এয়ারপোর্ট থেকে উড়তে বা নামে তখন সেখানে উপস্থিত থাকা সাধারণ দর্শনার্থীরা আনন্দ উল্লাসে চিৎকার করে উঠে।এই ঘটনার কিছুটা আতঙ্ক থাকলেও সেখানে থাকা লোকজন আতঙ্কিত না হয়ে এই দৃশ্যটা কে উপভোগ করে। তাদের মধ্যে কোন ভয় বিরাজ করে না বরং তারা এই দৃশ্যটি নিজেদের চোখ দিয়ে উপভোগ করে থাকে তারা এই দৃশ্য কে নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় স্মরণীয় একটি দৃশ্য হিসেবে মনে করে।
এই সমুদ্র সৈকতের তীরবর্তী এয়ারপোর্ট দেখতে সেখানে ভিড় জমায় অনেক বিদেশী দেশী দর্শনার্থীরা। তারা সকলেই এই দৃশ্য নিজের চোখে দেখতে চায় তারা দেখতে চায় কি করে একটি এরোপ্লেন মাথার ঠিক কয়েক ফুট উপর দিয়ে উঠানামা করে। তারা উপভোগ করতে চায় এই দৃশ্যটি। অনেকেই এই অদ্ভুত বিরল দৃশ্য এটি তাদের ফোন ক্যামেরা বন্দী করে নিয়ে যায়। যাতে করে তারা আবার এই দৃশ্যটি দেখতে “মহো বিচে” আসতে পারে। অনেকের কাছে এই দৃশ্যটি আতঙ্কিত হলেও বেশিরভাগ দর্শনার্থীর কাছে এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকে তাদের আজীবন ধরে।