জয়পুরহাটের রেহেনা ৩০টি হাঁস দিয়ে শুরু করে এখন ১ হাজার ৬০০ হাঁস রয়েছে তার খামারে। পাশাপাশি বাড়িতে স্থাপন করেছেন একটি মিনি হ্যাচারি। এতে ডিম থেকে বাচ্চাও উৎপাদন করছেন তিনি, যা সরবরাহ করছেন জয়পুরহাটসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায়। হাঁসের খামার করে সংসারের হাল ধরেছেন রেহেনা বেগম।
গৃহবধূ রেহেনা বেগম জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার শাইলগুন গ্রামের ইউসুফ আলীর স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকত। তাই অভাবের সংসারে তিনি নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ২০২০ সালে হাঁসের খামার শুরু করেন। পাশাপাশি বাড়িতে মিনি হ্যাচারি স্থাপন করে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করছেন রেহানা। তার হ্যাচারির নাম ‘মেসার্স রেহেনা হ্যাচারি’। ধীরে ধীরে বাড়াতে থাকে হাঁসের সংখ্যা।
শুধু ডিম আর বাচ্চা বিক্রি করেই তিনি মাসে আয় করছেন ৩০-৪০ হাজার টাকা। পরিবারের অভাব ঘুচিয়ে তিনি এখন স্বাবলম্বী। খামারি রেহেনা বেগম বলেন, আমার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। এজন্য ৩০টি হাঁস কিনে পালন শুরু করি। শতাধিক হাঁস প্রতিদিন ডিম দেয়। সেই ডিম তিন দিন পরপর বিক্রি করি। এ হ্যাচারি থেকে উৎপাদিত বাচ্চা সরবরাহ করা হচ্ছে জয়পুরহাটসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায়।
এছাড়া স্থানীয় এনজিও’র সহায়তায় বাসায় একটি মিনি হ্যাচারি স্থাপন করেছি। আমার খামারে উৎপাদিত ডিম থেকেই এ হ্যাচারিতে বাচ্চা উৎপাদন হচ্ছে, যা বিভিন্ন এলাকার মানুষ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
চান্দা আক্তার নামে তার এক প্রতিবেশী জানান, রেহেনা বেগমের খামার দেখে খুব ভালো লাগছে। আমারও ইচ্ছা আছে এরকম খামার করার। এ বিষয়ে জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এসএম খুরশিদ আলম বলেন, রেহেনা বেগম একজন সফল খামারি। আমরা তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি।