ক্রিকেট বিশ্বকাপে সদ্য শেষ হওয়া আসরের শুরু থেকে অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে অপরাজিত থেকেই ফাইনালে উঠে ভারত; কিন্তু ফাইনালে বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ভারতকে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ট্রফি জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপ পর্যন্তই ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে চুক্তি ছিল প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে না পারায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হলেও কোচের চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো দাবি উঠেনি।
ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) চাইছে দ্রাবিড়ের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করতে; কিন্তু ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার নিজ থেকেই কোচের চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন।
বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে দ্রাবিড়কে নিয়ে আপাতত কোনো ঘোষণা হয়নি। এমনকি দ্রাবিড়ের সঙ্গে বাকি সাপোর্ট স্টাফ বোলিং কোচ পরশ মামব্রে, ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ, ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরের সঙ্গেও চুক্তি শেষ হয়ে গেছে।
বোর্ড সূত্রের খবর, দ্রাবিড় দায়িত্ব ছাড়লে পরবর্তী কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হবে সাবেক তারকা ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণকে। জাতীয় দলের কোচ হওয়ার আগে দ্রাবিড় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ছিলেন। দুই বছর আগে আইপিএল চলাকালীন তৎকালীন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী ও সচিব জয় শাহ দ্রাবিড়কে বুঝিয়ে জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য রাজি করেন।
দ্রাবিড় জাতীয় দলের কোচ হওয়ার পর তার ছেড়ে যাওয়া আসনে বসেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর পদ ছেড়ে লক্ষ্মণ এনসিএর প্রধান হন। সেই সঙ্গে দ্রাবিড়ের অনুপস্থিতিতে টিম ইন্ডিয়ার অন্তর্বতীকালীন কোচের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপ শেষে দ্রাবিড় সরে দাঁড়ানোর পর ভিভিএস লক্ষ্মণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্থায়ী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। আপাতত তিনিই ভারতের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের ভূমিকা পালন করছেন।
দ্রাবিড় জাতীয় দলের কোচের পদে থাকতে আর ইচ্ছুক নন। এমনটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মহেন্দ্র ধোনির নাম উঠে আসছে। তবে বিসিসিআইয়ের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ধোনি প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বোর্ড কোচের বিজ্ঞপ্তিতে বারবার স্পষ্ট করে দেয়, একমাত্র অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটাররাই কোচের পদে আবেদন করতে পারবেন।
২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে ভারত। ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও আইপিএলে খেলে যাচ্ছেন। ভারতের হেড কোচ হওয়ার জন্য তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে হবে।