একসময় বড়পর্দায় জুটি হিসেবে দেখা যেত ঢালিউড ক্যুইন অপু বিশ্বাস ও চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। দর্শকমহলে বেশ জনপ্রিয় ছিল এই জুটি। ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে এসে নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ের কথা প্রকাশ্যে আনেন অপু। বিচ্ছেদের পর শাকিব বিয়ে করলেও একাই রয়েছেন অপু।
সিঙ্গেল মাদার হিসেবে নিজের জীবন অতিবাহিত করছেন। কাজ আর সন্তান একসঙ্গে দুটিকেই সমানতালে সামলে চলেছেন। ডিভোর্সের পর বার বার অপুর দ্বিতীয় বিয়ের প্রসঙ্গ এসেছে। তবে নানাভাবে বিষয়টিকে এগিয়ে গেছেন এই নায়িকা। এবার ভারতীয় গণমাধ্যমে দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাব দিলেনে এই অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি চাই না, আমার সন্তান কোনো ভাঙা পরিবারে বেড়ে উঠুক। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে ভীষণ সচেতন। যেকোনো সন্তানের কাছে পরিবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মা হিসেবে সন্তানকে সুনিশ্চিত একটা জীবন দেওয়া আমাদের কর্তব্য।
আমার মনে হয়, পরিবারের অশান্তিগুলো আমাদের মাঝেই থাকা উচিত; সন্তানকে যেন সেই অশান্তি না স্পর্শ করে। জয় এ জিনিসটা কখনো বুঝতেই পারে না। কারণ আমি, আমার শ্বশুর-শাশুড়ি, শাকিব সবাই ভীষণ সচেতন। বাবা-মা কাজ করেন, ব্যস্ত বলে দূরত্ব রয়েছে— আমার ছেলের কাছে বিষয়টি এমন। কিন্তু ‘ব্রোকেন’ শব্দটার সঙ্গে ও পরিচিত নয়।’
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে অপু বলেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ের দরকারটা কী? বাংলাদেশে আমার এমন একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে সবাই ভাবেন অপু যা-ই করবেন তার মধ্যে একটা বার্তা থাকবে। সেই দিক থেকে দর্শকের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। একটা মেয়ে, যার সন্তান আছে সে কেন দ্বিতীয় বিয়ে করবে? দ্বিতীয় বিয়েতে সে হয়ত স্বামী পাবে, সামাজিক পরিচিতি পাবে। কিন্তু সন্তান একজন সৎবাবা পাবে! সন্তানের প্রতি ওই বাবা সমান ভালোবাসা দেবেন না।
তাই আমি মনে করি, দ্বিতীয় বিয়ে করবই না! তা হলে সন্তান তার নিজের বাবাকেই পাবে, অন্য কাউকে বাবা বলতে হবে না। তাই যেকোনো একজনকে আত্মত্যাগ করতেই হয়, তাতে ভুল কিছু নেই। মা হিসেবে আত্মত্যাগ করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’