দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রবিবারে (৭জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আর এবারের নির্বাচনেও মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর, হরিরামপুর ও সদরের একাংশ) ক্ষমতাশীন দলের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। তবে শেষমেষ বিজয়ের হাসি হাসতে পারেননি তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদ আহমেদ টুলু তাকে টপকে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন।
পরাজয়ের পর অন্য প্রার্থীরা মুখ খুললেও চুপ ছিলেন মমতাজ বেগম। তবে নিজের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলায় ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে তার। নির্যাতিত কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে গর্জে উঠেছেন এই কণ্ঠশিল্পী। দিয়েছেন কঠোর হুঁশিয়ারি।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর মমতাজের ৫০–এর বেশি নেতাকর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মমতাজ হেরে গিয়েও তাদের পাশে থাকার কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমি সারা পৃথিবী চষে বেড়ানো মহিলা, আর সাধারণ দশটা মেয়ের মতো আমি না। আমার এই জনগণের জন্য আমি জেল খাটতে রাজি আছি। আমাকে যদি মোকাবিলা করতে হয় রাজপথে দাঁড়ায়া, আপনাদের সাথে নিয়ে সবকিছু মোকাবিলা করব। জেল–জুলুল অত্যাচার কোনো কিছুই আমাকে দাবায়ে রাখতে পারবে না।
মমতাজ আরও বলেন, আমি কিন্তু ডরে ঘরের কোণে বসে থাকা মহিলা না। আমি আপনাদের সাথে আছি। এরপর থেকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করব। হান্নান ভাই, মেয়র সবাইকে বলব, যেখানে যেসব ঘটনা ঘটবে, সেখানে সবাই মিলে সেটার প্রতিবাদ করব।
প্রসঙ্গত, কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম ২০০৮ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন।