শিল্পী সমিতির দায়িত্বে থেকে টানা ১৩ বছর কাজ করেছেন মিশা সওদাগর। জায়েদ খানের সঙ্গেই ছিলেন দুইবারের নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্বে। তবে এবার তার সঙ্গে থাকতে চান না মিশা।
মিশা সওদাগর বলেন, জায়েদ খান আমার ছোট ভাই। তার সঙ্গে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি চাই নতুন নেতৃত্ব আসুক। আমি যদি নির্বাচন করি তাহলে নতুন কারো সঙ্গে করব।
মিশা বলেন, আমি সলিড লোক, সলিড কথা বলতেই পছন্দ করি। তাই বলব- জায়েদ খানের সঙ্গে শিল্পী সমিতির নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা আমার নেই।
তিনি বলেন, জায়েদ খান এখন অনেক ব্যস্ত। ওর হাতে এখন অনেক কাজ। তাই ওর রেস্ট নেওয়া উচিত। বর্তমানে শিল্পী সমিতি যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে তার চেয়েও ভালো অবস্থানে নেওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন এই অভিনেতা।
এই অভিনেতা বলেন, সমিতির বর্তমান কমিটি কী করেছে সে আলোচনা-সমালোচনায় যেতে চাই না। সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন আমার বড় ভাই আর নিপুণ আমার ছোট বোন। তাদের ছোট করতে চাই না; যা সম্ভব হয়েছে তারা তাদের মতো দায়িত্ব পালন করেছে। ভালো-খারাপ বলার মালিক সমিতির সদস্যরা। অনেকের সঙ্গে আমার কথাও হয়, সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলছি- এর থেকে আরও বেটার পদক্ষেপ নেওয়ার অনেক জায়গা ছিল।
সবশেষ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে হেরে যান জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। বিজয়ী হয়েও বিজয়-উল্লাস করেননি জায়েদ খান। কারণ হিসেবে বলেছিলেন- ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সম্পর্কটা স্বামী-স্ত্রীর মতো হয়ে যায় না? তার জন্য আসলে মায়া হচ্ছে। আমার সভাপতির জন্য মনটা খারাপ, দুই মেয়াদে একসঙ্গে ছিলাম, তাকে মিস করছি। এজন্য বিজয়-উল্লাস মন থেকে আসছে না।’
এবার সেই সম্পর্কে ছেদ পড়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে জায়েদ খান ও নিপুণের মধ্যকার সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত সুরাহা না হলেও ঘনিয়ে এসেছে আগামী নির্বাচন।
১ ফেব্রুয়ারি সমিতির বৈঠকে ভোটের দিন চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এরই মধ্যে অভিনেতা মিশা সওদাগর জানালেন, শিল্পীরা চাইলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি। তবে জায়েদ খানের সঙ্গে প্যানেল না সাজানোর বিষয়টি নিশ্চিত করলেন মিশা।