আবারও প্রমাণ হলো, প্রেম মানে না জাত কুল। প্রেম মানে না বাধা বিপত্তি। হাজার মাইল দূর থেকে প্রেমের টানে প্রেমিককে বিয়ে করতে ছুটে এসেছেন মাধবপুরে। সোমবার ফিলিপাইনের ওই তরুণী হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে চলে আসেন।
ফিলিপাইনের তরুণী জুবেলিন কাতারে চাকরির সুবাদে মাধবপুরের তরুণ আশিকুর রহমান মিশুর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেম গভীর থেকে গভীরতর হয়ে পড়ে। প্রেমিককে পেতে ব্যাকুল হয়ে পড়ে ওই তরুণী। সোমবার তিনি চলে আসেন প্রেমিক আশিকুরের বাড়ি মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে।
পরে হবিগঞ্জ গিয়ে এফিডেভিটের মাধ্যমে নিচের জন্মভূমি ও জুবেলিন নাম পরিবর্তন করে জান্নাত রহমান রাখেন। মঙ্গলবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিয়ে প্রত্যাশিত প্রেমিক আশিকুরকে।
আশিকুর রহমান মিশু মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর কামারহাটি গ্রামের স্কুল শিক্ষক লুৎফুর রহমানের ছেলে। তিনি কাতার প্রবাসী। কাতারে চাকরির সুবাদে প্রায় ৫ বছর আগে পরিচয় হয় ওই জুবেলিনের সঙ্গে। এরপরই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি মিশুর বাড়ি ফিরে আসলে খবর পেয়ে ওই তরুণী প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন।
মাধবপুরের ছেলে ভিনদেশি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ভিনদেশী তরুণীকে এক নজর দেখতে আশপাশের মানুষজন বাড়িতে ভিড় করছে।
আশিকুরের চাচা আমিনুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য সব বিয়ের চেয়ে এটি ছিল ভিন্ন একটি বিয়ে। বিদেশি নববধূকে দেখতে মানুষের ভিড় লেগেই আছে। পরিবার বলছে ছেলের সুখে আমরাই সুখী। ভিনদেশি মেয়ে আমাদের ছেলেকে ভালোবেসে হাজার মাইল দূর থেকে এসেছে। পুরোপুরি মর্যাদা দিয়েই আমরা তাকে রাখব।