বুধবার সকালে সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে বাঁধাকপির স্তূপ করে রেখে ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করছেন কৃষকরা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের একটি বাঁধাকপির পাঁচ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারি ক্রেতা মিলছে না। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রতি পিস বাঁধাকপি পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম কমলেও ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে না বাঁধাকপি। এতে আর্থিক লোকসানসহ বিপাকে পড়েছেন চাষিরা।
চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ সাতটি ইউপির বিভিন্ন এলাকায় এক হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতি হেক্টরে এক দশমিক ৫ মেট্রিক টন হিসেবে মোট ২ হাজার ৬২৫ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ফুলকপি ৩৬০ হেক্টর এবং বাঁধাকপি ৩৭৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার আলাদিপুর ইউপির ভিমলপুর গ্রামের এক কৃষক বলেন, ৩০ শতক জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছি। মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ দাম পাওয়া গেলেও এখন একটি কপি পাঁচ টাকা দাম রাখলেও পাইকারি ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।
আরেক চাষি বলেন, ২৫ শতক জমিতে বাঁধাকপি রোপণ করেছিলাম। এখন সেই কপি গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাইকারি বাজারে একটি কপি পাঁচ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে না। এতে আর্থিকভাবে লোকসানে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শাহানুর ইসলাম বলেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি জমিতে বাঁধাকপি চাষাবাদ হয়েছে।