মাত্র ৩শ বর্গফুটের একখণ্ড ছাদে ২৫টি আমের চারা রোপণ করে ভালো ফলনের আশা করছেন আলী হোসেন নামে এক শখের ছাদ বাগানের মালিক। ইতোমধ্যে তার বাগানের প্রতিটা গাছে দুই শতাধিক আম থোকায় থোকায় ঝুলছে। এছাড়া বারোমাসি জাতের আমগাছের এক ডালে পরিপক্ব আম, অন্য ডালে আমের গুটি এবং অপর ডালে আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে।
শেরপুর শহরের নয়ানী বাজার মহল্লার জুয়েলারি ব্যবসায়ী আলী হোসেনের সিংপাড়া মহল্লার বাসার দোতলার ছাদে এ আমবাগান করা হয়েছে। তার এ আমবাগানে ফজলি, আম্রপালি, লেংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগোসহ ৬-৭ প্রজাতি আমের গাছ রয়েছে। প্রতিটি আম গাছেই ঝুলছে থোকা থোকা আম।
বাগানের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যানানা ম্যাংগো প্রজাতির আম। এখনই প্রতিটা ব্যানানা আমের ওজন প্রায় এক কেজি সাইজ হয়েছে। পরিপক্ব হলে এই আমের সাইজ ২ কেজি পর্যন্ত হবে বলে জানান বাগান মালিক।
বাগান মালিক আলী হোসেন জানান, অনেকটা শখের বসেই তার ছাদের উপর এ আমের চারা রোপণ করেন গত বছর। এক বছরের মাথায় এমন ফলন দেখে উৎফুল্ল তিনি। তার এ বাগানে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা নিজ হাতে পরিচর্যা করে থাকেন। এখানে তিনি কোনোরকম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেননি। শুধুমাত্র গোবর সার ব্যবহার করা হয়েছে।
তার ছাদ বাগানে আমগাছ ছাড়াও রয়েছে মালটা, কমলা, আনার, লেবু, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজির খেত। তাকে দীর্ঘদিন থেকেই কোনো সবজি কিনে খেতে হয় না। তবে আম বাগান নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসব আম পরিপক্ব হলে পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দেবেন বলে জানান তিনি।
এই ছাদ বাগানের বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, আমরা বরাবরই ছাদ বাগানকে উৎসাহিত করে থাকি। শহরের অনেকেই এখন ছাদ বাগান করে তাদের নিজেদের ফল ও সবজির চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি দেশে ব্যানানা ম্যাংগো প্রজাতির আম বেশ সাড়া ফেলেছে। এ জাতের আমের প্রতিটার ওজন দুই কেজির ওপরে হয়। স্বাদও হয় অতুলনীয়।
আলী হোসেনের এই শখের আম বাগানের মতো যদি শহরের অনেকেই বাগান করেন তাহলে হয়তো বাজারের ভেজাল আমের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে একদম তরতাজা আম খাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন শহরের সচেতনমহল।