সদ্য বিদায়ি শেখ হাসিনা সরকার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছিল। তবে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্ষপঞ্জি হিসেবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ছুটি।
এই ছুটি বহাল থাকবে কি-না এই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। এ ছাড়া এবার ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করবে কি না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ বিষয়ে আজ সোমবার সচিবালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বারষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এখনও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে দুর্গাপূজায় তিন দিন সরকারি ছুটির সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজার দুই-তিন দিন ছুটি দিলে অসুবিধা কী? ছুটিতে আমরাও উপভোগ করব, সমস্যা তো নেই। এ বিষয়ে সচিবকে বলেছি।
এদিকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হবে বলে জানিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ না ভাবতে নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করেছে দলটি।
রবিবার (১১ আগস্ট) বিকালে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজম নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছেন।
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এ ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন।
১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল তখন দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পালন করা হয়েছিল।
কিন্তু বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে ১৫ই অগাস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে পুর্নবহাল করে।