পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে মনিরুল ইসলাম নামের এক পর্যটক তার স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে এসে মারধরের স্বীকার হয়েছেন। এ সময় তার স্ত্রী নুরে জান্নাত প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মনিরুল।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ওই সমুদ্রসৈকতে জিরোপয়েন্টের ফ্রাই মার্কেটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ মনিরুলকে হেফাজতে নিলেও উদ্ধার করতে পারেনি তার স্ত্রী নুরে জান্নাতকে।
মনিরুল বাংলানিউজকে জানান, মনিরুল বরগুনার কেজি স্কুল এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে ছিলেন মনিরুল। পাঁচদিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। মঙ্গলবার মনিরুল স্ত্রীকে নিয়ে কুয়াকাটায় আসেন। সন্ধ্যায় তারা সৈকতে ঘুরতে যান। ঘোরাঘুরির পর ওই দম্পতি রুমে ফিরে আসেন। পরে স্ত্রীর অনুরোধে মনিরুল আবারও সৈকতে ঘুরতে যান। সৈকতের জিরোপয়েন্টের ফ্রাই মার্কেটের কাছে গেলে ৪ থেকে ৫ জন লোক তার ওপর হামলা করে। এ সময় তার স্ত্রী সঙ্গে পালিয়ে যান।
হামলাকারীদের মধ্যে তার স্ত্রীর প্রেমিক ছিলেন বলে দাবি করেন মনিরুল।
প্রত্যক্ষদর্শী খায়রুল নামের এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, আমি ওই দম্পতিকে সৈকতে দেখেছি। কিছুক্ষণ পরেই দেখি ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় কয়েকজনকে নিয়ে পুলিশ বক্সে এসেছেন।
মনিরুলের শ্বশুর হারুন অর-রশিদ মোবাইলফোনে বাংলানিউজকে জানান, আমরা বিষয়টি শোনার সঙ্গে সৈকতে এসেছি। আমার মেয়ে এখন কোথায় আছে তা এখনও জানতে পারিনি। মেয়ে জামাইকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা পারিবারিকভাবে বিষয়টি দেখবো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে মারধরের স্বীকার পর্যটক মনিরুলকে উদ্ধার করেছি। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের কয়েকটি টিম আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে, কিন্তু তার স্ত্রী নুরে জান্নাতকে পাওয়া যায়নি। মনিরুলকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।