শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর রাজধানীর সড়কে ছিল না কোনো ট্রাফিক পুলিশ। এ সময় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। তারা পুরো ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়ে রাজধানীকে যানজট থেকে রক্ষা করেছেন। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে পথচারী, যাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে।
এর মধ্যে শাড়ি পরে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা গেছে এক শিক্ষার্থীকে। গত বৃহস্পতিবার তার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তাকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। রাতারাতি ভাইরাল হয় সেই ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যায়, রোডের মাঝখানে দাঁড়িয়ে গাড়ির লেন ঠিক রাখতে ব্যস্ত এক শিক্ষার্থী। এ ছাড়াও রাস্তায় সিগন্যালের পাশাপাশি তারা ফুটপাতে হাঁটা, নির্দিষ্ট স্থান থেকে গাড়িতে ওঠানামা ও গণপরিবহনগুলো নির্দিষ্ট স্থান থামার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়ম মেনে চলতে মানুষ ও গাড়িচালকদের বাধ্য করছেন। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি তিনি মানুষকে নিয়ম-শৃঙ্খলা শেখাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাড়ি পরা ওই শিক্ষার্থীর নাম আবিদা নওমী। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী।
আদিবা নওমী শাড়ি পরে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে এসেছেন। এ বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,‘শাড়ি পরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। শাড়ি বাঙালি নারীর ভূষণ।
একটি মেয়ে যেভাবে সালোয়ার-কামিজ পরে সব কাজ করতে পারেন, একইভাবে একই কাজ শাড়ি পরেও করতে পারেন। আমাদের মায়েরা বেশির ভাগ সময় শাড়ি পরেন।’
তিনি আরো বলেন, সহিংস পরিস্থিতির জেরে পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন দাবি জানিয়ে কর্মবিরতিতে গেছেন। ফলে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। তাই নিজের এলাকার সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পথে নেমেছেন তারা।