আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবারের (২০ আগস্ট) মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মেধা, দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে ডিসি নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া বাতিল করা হচ্ছে নতুন প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাছাই করা ‘ফিট লিস্ট’। নতুন জেলা প্রশাসক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এসএসবিকে সহযোগিতা করবে বিসিএস প্রশাসন ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভাল, ভূমি অধিগ্রহণ, প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করেন উপসচিব পদমর্যাদার মাঠ পর্যায়ের এসব কর্মকর্তা। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন গেল ১৮ বছরে পদোন্নতি বঞ্চিতদের বড় একটি অংশ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড- এসএসবির সভায় ডিসি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ পৌর মেয়র রয়েছেন। এছাড়াও ৯৮৮ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পতন হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের। দলটির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এরপর থেকে সারাদেশে বেকায়দায় আছেন পুলিশ ও প্রশাসনের বড় কর্মকর্তারা। পুলিশে এরই মধ্যে বড় রদবদল হয়েছে। প্রশাসনেও রদবদল চলছে। এর অংশ হিসেবে এবার সারাদেশ থেকে সব জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।