ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয়েছে হাসিনা সরকারের। শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলেও দেশে রয়ে গেছেন হত্যাকাণ্ডের সহযোগী প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। হাসিনা সরকারের দমন-পীড়ন ও ক্ষমতা ধরে রাখার সহযোগীও ছিলেন বেশিরভাগ জেলা প্রশাসক। এসব কর্মকর্তার অনেকেরই ছাত্রজীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল। যার কারণে তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা অনেক জেলা প্রশাসকই এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এবার বাতিল হচ্ছে জেলা প্রশাসক নিয়োগের পুরাতন নীতিমালা। প্রত্যাহার করা হচ্ছে দেশের সব জেলা প্রশাসকদের (ডিসি)। নতুন পদায়ন হবে মেধা, যোগ্যতা ও সততার ভিত্তিতে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড- এসএসবির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ (মঙ্গলবারের) মধ্যে এ বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া, বাতিল করা হচ্ছে নতুন প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে বাছাই করা ‘ফিট লিস্ট’। নতুন জেলা প্রশাসক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এসএসবিকে সহযোগিতা করবে বিসিএস প্রশাসন ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দেখভাল, ভূমি অধিগ্রহণ, প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ স্থানীয় পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালন করেন উপসচিব পদমর্যাদার মাঠ পর্যায়ের এসব কর্মকর্তা। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন গেল ১৮ বছরে পদোন্নতি বঞ্চিতদের বড় একটি অংশ।
উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেকটা বেকায়দায় আছেন পুলিশ ও প্রশাসনের বড় কর্মকর্তারা। পুলিশে এরই মধ্যে বড় রদবদল হয়েছে। প্রশাসনেও রদবদল চলছে। এর অংশ হিসেবে এবার সারাদেশ থেকে সব জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।