সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর রাজধানীর বনানীর ‘প্রিয় প্রাঙ্গণ’ ভবনে রাতভর অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে ভবনটিতে অভিযান শুরু করেন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা।
জানা গেছে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর উপস্থিতিতে এ অভিযান চালানো হয়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, হামিদ গ্রুপের তিনতলার অফিসে প্রবেশ করে নিচের ফ্লোরে গিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এ ছাড়া লিফটের ১৩-এর বাম দিকের অফিস, লিফটের ১২-এর পশ্চিম পাশের অফিস, লিফটের ১১-এর পূর্ব পাশের অফিস, লিফটের ১০-এর পশ্চিম পাশের অফিস, তৃতীয় ফ্লোরের পশ্চিম পাশের অফিসের বিভিন্ন তালা, দরজা ভাঙা এবং বিশৃঙ্খল অবস্থায় পাওয়া যায়।
অভিযানে ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি ভল্ট জব্দ করা হয়েছে। প্রিয়প্রাঙ্গণ ভবনের তিনতলায় হামিদ গ্রুপের অফিসে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টসের রুমে বড় ভল্টের পাশের টেবিলের ড্রয়ার থেকে ৫০০ টাকার ৪০০টি নোট (মোট দুই লাখ), ১০০০ টাকার ৭৫টি (মোট ৭৫ হাজার), ২০০ টাকার ১০০টি নোট (২০ হাজার), ৫০০ টাকার ২২টি (মোট ১১ হাজার), ১০০ টাকার ২৭টি নোট (মোট ২৭০০)। সবমিলিয়ে ৩ লাখ ৮ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়। একই রুমে বামদিকের আরেকটি ড্রয়ার থেকে ৫০০ টাকার ১০০টি নোট, ৫০০ টাকার ৩০টি নোট, ১০০ টাকার ১০০টি নোট, ১০০ টাকার ৪৬টি নোট, ৫০০ টাকার ৪টি নোট, ১০০ টাকার ৪০টি নোটসহ ৮৫ হাজার ৬০০ টাকা জব্দ করা হয়। সবমিলিয়ে ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস রুমের দুটি ড্রয়ার থেকে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া বিল্ডিংয়ের ছয়তলার হামিদ গ্রুপের অফিসে ১০০০ টাকার ২০টি বান্ডেল পাওয়া যায়। প্রতি বান্ডেলে ১০০টি করে নোট ছিল। এ ছাড়া ৫০০ টাকার ১২০টি নোট, ১০০ টাকার ৩টি বান্ডেল, ১০০ টাকার নোট ২০টি, ১০০০ টাকার নোট ১টিসহ সর্বমোট ২০ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে। এই অফিস থেকে ৫০ পাউন্ডের ৪টি নোট, যার একটি ছেড়া, তুর্কি মুদ্রা (লিরা) ২০০ লিরার একটি নোট, ১০০ লিরার মোট ২টি, ৫০ লিরার নোট একটি, ২০ লিরার নোট একটি, ১০ লিরার নোট ৪টিসহ সর্বমোট ৫১০ লিরা জব্দ করা হয়।
অভিযানের সময় নুরুল হক নুর বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে বিপুলসংখ্যক অর্থায়ন এই ভবনটি থেকেই যায়। এ ঘটনার তথ্য ও প্রমাণ জোগাড় করতেই অভিযান চালানো হয় ভবনের ফ্লোরগুলোতে।